শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ত্রিপুরার ঘটনা ‘সাজানো’ ও ‘নাটক’! বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

১১:৪৩ এএম, আগস্ট ৮, ২০২১

ত্রিপুরার ঘটনা ‘সাজানো’ ও ‘নাটক’! বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজনীতিতে এই মুহূর্তে অন্যতম আলোচিত ঘটনা ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব কর্মীদের উপর আক্রমণ। শনিবার থেকেই উত্তপ্ত আগরতলা। গতকালই দুপুরে সংগঠনের কাজে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন যুব তৃণমূলের নেতারা। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে তৃণমূলের যুব নেতা সুদীপ রাহার। আক্রান্ত হন দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং জয়া দত্তও।

এই ঘটনার পর, আজ সকালে মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে এই তৃণমূলের নেতাদের। অভিযোগের তীর বিজেপির দিকেই। এদিকে গতকালের ঘটনা এবং আজ দেবাংশুদের গ্রেফতারির পর, ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন। তবে, গতকালের গোটা ঘটনাকে ‘নাটক’ এবং ‘সাজানো ঘটনা’ বলেই উল্লেখ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, ‘এর আগেও অসমে গিয়ে অনেক নাটক করেছেন ওনারা। একটা পঞ্চায়েতেও জিততে পারেননি।’ এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, এবার ত্রিপুরায় গিয়েও তৃণমূল কিছু করতে পারবে না। তাঁর দাবি, যে রাজ্যে তৃণমূলের কোনও সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্যও নেই সেখানে। কেন তৃণমূলকে আক্রমণ করা হবে? তিনি আরও জানিয়েছেন যে, ‘এরকম মারামারি করে মনে হয় না তৃণমূল ওখানে সংগঠন করতে পারবে।’ এর সঙ্গে তিনি বলেন, ‘দিদি নাটক করেন, ভাইরা আরও বেশি নাটক করেন।’ এখানেই শেষ নয়, অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে দিলীপ ঘোষও বলেন, তৃণমূলই ত্রিপুরায় হিংসার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করছে। তৃণমূলের সব অভিযোগ ‘সাজানো ঘটনা’ বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, গতকালই রাজ্য বিজেপির আর এক নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও এই একই দাবি করেছেন। তিনি বলেন যে, ত্রিপুরায় কোনও রাজনৈতিক অশান্তি ছিল না। তৃনমূলই অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে।

জানা গিয়েছে যে, গতকাল রাতে তৃণমূল নেতাদের ত্রিপুরার খোয়াই থানায় রাখা হয়। এরপর আজ সকালে মহামারী আইনে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্য-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে, আজ ত্রিপুরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন ত্রিপুরার ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন যে, ‘ত্রিপুরার পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমাদের সহকর্মীরা কাল সারারাত অবরুদ্ধ ছিলেন। গুণ্ডারা তাঁদের ফেরার রাস্তাও অবরোধ করে রেখেছিল। আমাদের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে, ফ্লেক্স ব্যানার ছেড়া হয়েছে। আমরা যে হোটেলগুলোতে থাকি সেখানে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে আমাদেরকে হোটেলে থাকতে না দেওয়া হয়।’

তৃণমূলের আরও অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে সাংবাদিক বৈঠক করতে না পারেন, তার জন্য মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের দাবি, বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই, এভাবে বাধা দিচ্ছে প্রত্যেক পদে পদে।