বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজনীতির অন্দরে জোর জল্পনা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ। সেই জল্পনাই সত্যি হল অবশেষে। তৃণমূলে যোগ দিলেন জেডিইউ-এর প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ।
মঙ্গলবার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তাঁরা। এদিন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গীতিকার জাভেদ আখতারও। সূত্রের খবর, অশোক তানওয়ারও তৃণমূলের যোগ দিতে পারেন। সোমবার কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তার আগে এদিন একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দলে যোগ করান JDU-র প্রাক্তন সাংসদ পবন বর্মা ও কংগ্রেসের কীর্তি আজাদকে।
নতুন দলে যোগ দেওয়ার পর এদিন পবন বর্মা বলেন, ‘JDU ছাড়ার পর আমি অনেক ভেবেছি। তারপরই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। আমার মনে হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের একটা কঠিন প্রতিপক্ষ থাকা দরকার। তবেই দেশের বিকাশ সম্ভব। আমার মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব সঠিক। তাঁর সঙ্গে কাজ আমি করতে পারি। তাই যোগ দিলাম। আমি আশা করি ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে আসবেন।’
https://twitter.com/AITCofficial/status/1463088202131017728অন্যদিকে, তৃণমূলে যোগ দিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ বলেন, ‘আমি মমতা দিদির সঙ্গে দেখা করে এলাম। তৃণমূলের নেতৃত্বে কাজ করব। যতদিন রাজনীতি করব ততদিন এই দলেই থাকব। দেশে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীর দরকার। যিনি দেশের জন্য কাজ করতে পারেন। আমিও দেশের জন্য খেলেছি। ৩ বার সাংসদ থেকেছি। আমিও দেশের জন্য লড়তে চাই। আমার কোনও ধর্ম নেই। মমতা দিদির নেতৃত্বেই রাজনীত কবর। দিদির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখা আমার লক্ষ্য।’
উল্লেখ্য, ২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিহারের কর্মীরা(Bihar) দ্বারভাঙা (Darvanga) থেকে জিতেছিলেন কীর্তি। দ্বারভাঙ্গা থেকেই তিনবার সাংসদ হয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।
https://twitter.com/AITCofficial/status/1463088511909646338এর পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতারও। গত জুলাই মাসেও মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন জাভেদ আখতার। বিজেপির সরকারের বিরুদ্ধে বরাবর সরব হয়েছেন তিনি। দুপুর দুটোর আগেই মমতার বাসভবনে এসে সাক্ষাৎ করেন জাভেদ আখতার ও সুধীন্দ্র কুলকার্নী। প্রায় একঘণ্টা মমতার সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। আর আজ মমতার সঙ্গে অটলবিহারী বাজপেয়ী-লালকৃষ্ণ আডবানী-নীতিন গড়কড়ি ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি ঘনিষ্ঠ সুধীর কুলকার্নির সাক্ষাতের পরই জল্পনা শুরু হয়েছে, তাহলে কি এবার তৃণমূলের পথে সুধীর কুলকার্নিও। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। আর সুধীন্দ্র কুলকার্নির প্রতিক্রিয়া, “এই সাক্ষাতের অর্থ আপনারাই বুঝে নিন।” দিল্লির ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজনৈতিক কৌশলীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।