বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে বাধ্যতামূলক হতে চলেছে FASTag, কীভাবে করবেন রিচার্জ? কেনার পদ্ধতিই বা কী? জেনে নিন বিস্তারিত

০৩:৫৮ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১

চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে বাধ্যতামূলক হতে চলেছে FASTag, কীভাবে করবেন রিচার্জ? কেনার পদ্ধতিই বা কী? জেনে নিন বিস্তারিত
বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২১-এ এবার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে FASTag। চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে প্রত্যেক গাড়িতে আবশ্যিকভাবে থাকতে হবে এই FASTag স্টিকার। যারা এখনও এই বিষয়ে অবগত নন, তাঁদের জন্য প্রথমেই বলে নেওয়া যাক কী এই FASTag স্টিকার! এই ব্যবস্থায় গাড়িতে এই বিশেষ FASTag স্টিকার লাগিয়ে রাখতে হয়। আসল কথা, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রত্যেক গাড়িকে আলাদা আলাদা বারকোড দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। যা সেই সব গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে জড়িত যাবতীয় তথ্য এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে। যখন লেনের মধ্যে দিয়ে গাড়ি যাবে, তখন অ্যাকাউন্ট থেকে টোলের নির্দিষ্ট টাকা কাটা হয়ে যাবে। এবার আসা যাক এই FASTag-এর সুবিধা প্রসঙ্গে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা RFID প্রযুক্তিতে কাজ করবে এই FASTag। টোল প্লাজার মধ্যে দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় সেই ট্যাগ স্ক্যান হলেই পাসিং গেট নিজে থেকেই খুলে যাবে। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হাইওয়েজ ফি রুল ২০০৮ অনুযায়ী, এইসব টোল প্লাজাতে কিছু লেন রয়েছে, যা FASTag ব্যবহারকারীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। এই লেন ধরে এগিয়ে গেলে, FASTag নিজে থেকেই কাজ করে এবং টাকাও কাটা হয়ে যাবে। এর জন্য আলাদা করে গাড়ি থামানোর কোনও প্রয়োজন পড়ে না। টোল প্লাজায় এই ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে একদিকে যেমন সময় বাঁচাবে অনেকটাই, তেমনই আবার গোটা প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে উঠবে। এছাড়া অবশ্যই টোল প্লাজায় ভিড়ও আরও কমবে। কীভাবে কিনবেন এই FASTag? এর জন্য অবশ্য একাধিক উপায় রয়েছে। যদি নিজের গাড়ির জন্য কেউ FASTag কিনতে আগ্রহী হন, তাহলে টোল প্লাজা ত্থেকে নির্দিষ্ট স্কিমের FASTag স্টিকার কিনে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি বিষয় অত্যাবশ্যক, আর তা হল এতে KYC প্রক্রিয়াকরণের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। তা না হলে অনলাইনেও কিনতে পারেন এই FASTag স্টিকার। এছাড়া HDFC ব্যাংক, ICICI ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, কোটাক ব্যাংক বা Axis ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে এই FASTag কেনার জন্য। এর জন্য গাড়ির মালিকদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। এই FASTag কিনতে গেলে যে খরচ হবে, তা নির্ভর করে মূলত দুটি বিষয়ের উপর। এক্ষেত্রে কোন ধরনের গাড়ি রয়েছে, মানে জিপ, ভ্যান, বাস, ট্রাক, লাইট কমার্সিয়াল ভেহিকেল না কোনও কনস্ট্রাকশন মেশিন কেনা হচ্ছে, তা দেখে নিতে হবে। তারপর যে ব্যাংক থেকে FASTag কেনা হবে, সেই ব্যাংকের পলিসি, সিকিউরিটি ডিপোজিট, ইস্যু ফি ইত্যাদিও দেখা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে একটি চার চাকার গাড়ির জন্য মাত্র ৫০০ টাকায় FASTag কেনা যেতে পারে। এই ৫০০ টাকার মধ্যে আবার রিফান্ডেবল সিকিওরিটি ডিপোজিট হিসেবে ২৫০ টাকা এবং নুন্যতম ব্যালেন্স হিসেবে ১৫০ টাকা লাগবে। যদি কেউ ICICI ব্যাঙ্ক থেকে FASTag কেনেন, তাহলে ট্যাগ ইস্যু ফি হিসেবে ৯৯.১২ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ডিপোজিট মানি ও নুন্যতম ব্যালেন্স হিসেবে ২০০ টাকা করে দিতে হবে। এবার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে করবেন রিচার্জ! এই রিচার্জ করার বিষয়টি মোটেও কঠিন কোনও কাজ নয়। এর জন্যও দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমে ব্যাংকের তৈরি FASTag ওয়ালেটটি ব্যবহার করতে হবে। তার পর ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রিচার্জ করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও UPI, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা পেমেন্ট মোড ব্যবহার করতে পারবেন। যদি Paytm বা PhonePe-র মতো কোনও মোবাইল ওয়ালেট অ্যাপ থেকে থাকে, তাহলে সেখান থেকেও রিচার্জ করায় কোনও বাধা নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই FASTag একবার চালু হওয়ার পর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। তবে, FASTag অ্যাকাউন্টের জন্য রিচার্জের ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনও বৈধতা বিষয় থাকে না। এক্ষেত্রে FASTag ভ্যালিডিটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওয়ালেটে অ্যাক্টিভ থাকে রিচার্জ।