বিশেষ খাবার হিসেবে ডিমে উপস্থিত থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজসহ উন্নত পুষ্টি উপাদান গুলি। এককথায় যাবে বলা হয় সুপারফুড। ডিম মাংসপেশি, মস্তিষ্কের টিস্যু গঠন ও মেধা বিকাশে বিশেষ সহায়তা করে থাকে।
সারাদিনের কর্মজীবনে প্রায়ই ক্লান্তি চলে আসে, হয়ে যান তন্দ্রাচ্ছন্য। তখন এই তন্দ্রা ও ক্লান্তি কাটানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন কৌশল থাকলেও সেক্ষেত্রে ডিম বিশেষ কার্যকরী উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী, শরীরে যদি সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে যায় তাহলে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয়।
সেক্ষেত্রে ডিম সেরোটোনিন তৈরির ভালো উপাদান। এতে আরও রয়েছে ফলিক এসিড যা মুড বুস্টার হিসেবে কাজ করে। ডিমের অন্যান্য সকল গুণের সঙ্গে আরও একটি গণ হলো এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস দূর করতে পারে। ‘দ্য আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে চারটি ডিম টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।
যদিও প্রতিটি মানুষের ডিম খাওয়ার ধরণ আলাদা, কারো পোচের মাঝখানে উজ্জ্বল ভাবে থাকে হলদে কুসুম, কেউ বা খান পরোটার সাথে পেঁয়াজ লঙ্কার ওমলেট করে, কেউ বা মাশরুম দিয়ে, ডিম ভুনা বা চিলি অ্যান্ড গার্লিক সঙ্গে দিয়ে অনেকেই খায়। তবে এটা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই যে, যেভাবেই খাওয়া হোক ডিমের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় সব ক্ষেত্রেই।
