শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে অব্যর্থ এই ফুট বাথ, জেনে নিন

১১:৫৭ পিএম, নভেম্বর ৩, ২০২১

সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে অব্যর্থ এই ফুট বাথ, জেনে নিন

পেডিকিওর, ম্যানিকিওরের মতো পরিচর্চার পাশাপাশি ফুট বাথের প্রচলন বেড়েছে। এর জন্য ১৫ থেকে ২০ মিনিটই যথেষ্ঠ। একটি গামলায় হালকা উষ্ণ জলে কয়েক চিমটে এপসম নুন দিয়ে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন। খানিকক্ষণ করে ঠান্ডা জলে পা ধুয়ে মুছে একটা ময়শ্চারাইজার লাগান। ফুট বাথের সময় গরম জলে অ্যারোমাটিক এসেন্সিয়াল অয়েল ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি, উইন্টারগ্রিন ইত্যাদি দিতে পারেন। যা আপনাকে আরও রিফ্রেশ করবে।

তাছাড়া রাতে শোয়ার আগে ফুট বাথ নিলে ফল পাওয়া যায় সবচেয়ে ভাল। এসেন্সিয়াল অয়েলের গন্ধে ব্রেনও আরাম পায়, শরীর হালকা অনুভব হয়। রাতে ফুট বাথ নিয়ে লম্বা ঘুম দিলেই পরেরদিন সকালের কাজের জন্য এক্কেবারে রেডি। ম্যাজিকের মতো কাজ করে ফুট বাথ। শীতকাল তো এসেই গেল। পা ফাটার সমস্যাতেও ভীষণভাবে কাজে দেবে। পায়ের মৃত কোষ রিমুভ করার জন্য গরম জলে একটু ভিনিগার দিতে পারেন। এবং পাতিলেবুর রস ও এপসম সল্ট নিয়ে পায়ের গোড়ালির বা তালুতে ঘষে নিতে পারেন তাহলে আরও ভালো ফল পাবেন।

এখানে বলে রাখা দরকার, ফুট বাথ কিন্তু পুরোটা মনের শান্তির জন্য নয়। এতে পায়ের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, তাই মন ভাল থাকে আর দুশ্চিন্তা কমে। পায়ের পেশিতে ব্যথা থাকলে তাতেও আরাম মেলে এই ফুট বাথ এ। ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ছত্রাকজাতীয় সংক্রমণ হলেও তা থেকে পা-কে রক্ষা করে। অনেকের আবার মোজায় দুর্গন্ধ হয়। পা-ঢাকা জুতো পরলে আঙুলের ফাঁকে ঘাম জমে। নিয়মিত বাড়িতে অন্তত ১৫-২০ মিনিট ফুট বাথ নিলে উপকার পাওয়া যায়। তবে সব থেকে বেশি ৫০ মিনিটের বেশি ফুট বাথ নেবেন না।