বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

ভোটের প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্যে! মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের মানিকতলা থানায়

১০:০২ পিএম, মে ৬, ২০২১

ভোটের প্রচারে উস্কানিমূলক মন্তব্যে! মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের মানিকতলা থানায়

"মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে"। মিঠুন চক্রবর্তীর এই বিখ্যাত ডায়লগে কেঁপেছিল ৭ মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। কিন্তু সেই ডায়লগে ভোট-পরবর্তী হিংসায় প্ররোচনা যোগাচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলে মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তী এবং দিলীপ ঘোষের নামে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের তরফে মিঠুন চক্রবর্তী ও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় মানিকতলা থানায়।

ভোটের আগেই ব্রিগেডে বিজেপির সমাবেশে গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মঞ্চ থেকেই একের পর এক নিজের সিনেমার ওজনদার ডায়লগ দেন তিনি। কখনো "আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি" বা কখনো "মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে", একের পর এক এই গরম করার ডায়লগে সরগরম হয়েছিল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। কিন্তু তার এই ডায়লগই পরবর্তী হিংসায় উস্কানিমূলক প্ররোচনার কাজ করছে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এরপরে বৃহস্পতিবার মিঠুন চক্রবর্তীর এই সমস্ত ডায়লগ রাজনৈতিক হিংসায় উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। অভিযোগকারীদের দাবি, মিঠুন চক্রবর্তী প্রকাশ্যে যে মন্তব্য করেছেন তা পাবলিক প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে করা যায় না।

এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতা তৃণমূল যুব-র সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় পাল জানান, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বহু তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হচ্ছে, তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। পুরোটাই হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের মন্তব্যের কারণ। মিঠুনের মতো একজন ব্যক্তিত্ব যখন ওই ধরনের মন্তব্য করেন তখন অনেক বিজেপি কর্মী ওই মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং হিংসায় জড়িয়ে গিয়েছেন।

অন্যদিকে এদিন অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও। তিনি একাধিক জনসভায় গিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন এই অভিযোগে তাঁর নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মানিকতলা থানায়। ইতিমধ্যেই মানিকতলা থানায় অভিযোগ গ্রহণ করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ভোটের ফলাফল প্রকাশে আসতেই রাজনৈতিক হিংসা কয়েক মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসার কারণে। এরমধ্যে বিজেপি তৃণমূল সংযুক্ত মোর্চা প্রত্যেক দলের কর্মীই রয়েছেন। যদিও বিজেপি দাবি করেছেন ভোট-পরবর্তী হিংসায় তাদের কর্মীদের কে খুন করেছে তৃণমূল। এদিকে করা হাতে এই হিংসা দমন করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।