বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

করুণ পরিণতি! একই পরিবারের ৫ জন সদস্যের আত্মহত্যা বিহারের সুপৌলে!

০৪:০২ পিএম, মার্চ ১৩, ২০২১

করুণ পরিণতি! একই পরিবারের ৫ জন সদস্যের আত্মহত্যা বিহারের সুপৌলে!

বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ একই পরিবারের ৫ জন সদস্যের করুণ পরিণতিতে স্তব্ধ বিহারের সুপৌলের রাধোপুর থানা এলাকার গদ্দি গ্রাম। একই পরিবারের পাঁচজনের আত্মহত্যার। এই ঘটনা ফের একবার মনে করিয়ে দিল অভিশপ্ত বুরারি কাণ্ড। যে ঘটনায় দেশবাসী স্তম্ভিত হয়েছিল। ওই ঘটনায় একই পরিবারের ১১ জন সদস্য আত্মহত্যা করেছিলেন।

বিহারের সুপৌলের রাধোপুর থানা এলাকার গদ্দি গ্রামের ঘটনা বুরারি কাণ্ডের ঘটনাকেই মনে করাল। কিন্তু এমন করুণ পরিনতির কারণ কী? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আর্থিক দুরাবস্থাই ওই পরিবারকে এই পথ বেছে নিতে বাধ্য করতে পারে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে সুপৌলের ওই এলাকায়। একই পরিবারের ৫ সদস্যের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না এলাকার মানুষ। এলাকায় তাঁরা ভাল এবং সজ্জন মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সবথেকে করুণ বিষয় হল, মৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই শিশু।

বিহারের সুপৌলের রাধোপুর থানা এলাকার গদ্দি গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় কয়লার ব্যবসায়ী মিশ্রীলাল শাহ আর্থিক সমস্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ব্যবসায় মন্দার কারণে সংসারে অভাব নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছিল। কয়েক বছর আগে পৈতৃক জমি বিক্রি করেন মিশ্রীলাল। সেই টাকা থেকেই কোনওরকমে দিন চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই টাকাটাও শেষ হয়। ফলে ফের একবার আর্থিক সমস্যায় পড়ে ওই পরিবার। পড়শিরা জানিয়েছেন, মৃত মিশ্রীলাল শাহ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গত শনিবার শেষবার দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁরা সকলেই ঘরবন্দী ছিলেন। এরপর রাতে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

জানা গিয়েছে, মৃত মিশ্রীলাল শাহ’র বয়স ৫০ বছর, তাঁর স্ত্রীর বয়স ৪৪ এবং দুই মেয়ে এবং একটি ৯ বছরের ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কোন কারণের জন্য মিশ্রীলাল শাহ’র পরিবারের এই পরিণতি তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ এবং পড়শিদের অনুমান, এই ঘটনার জন্য ওই পরিবারের আর্থিক দুরাবস্থাই দায়ী। আর্থিক দুরাবস্থার কারণেই অবসাদগ্রস্ত পড়েছিলেন মিশ্রীলাল শাহ। তাই হয়তো এই চরম সিদ্ধান্ত। সুপৌল জেলার এসপি মনোজ কুমার জানান, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একইভাবে দিল্লির বুরারিতে একই পরিবারের ১১ জন সদস্য আত্মহত্যা করেছিলেন। বাড়ির আলাদা আলাদা ঘর থেকে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। বিহারের এই ঘটনায় যেন সেই অভিশপ্ত বুরারি কাণ্ডের ছায়াই দেখা গেল।