শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

দিল্লির আদালতে চলল গুলি! বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর গুলিতে নিহত কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোগী-সহ ৩

০৩:৩২ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১

দিল্লির আদালতে চলল গুলি! বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর গুলিতে নিহত কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোগী-সহ ৩

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রীতিমতো ভয়াবহ ঘটনা। দিল্লির রোহিণী কোর্টে গ্যাংস্টারদের তাণ্ডব। এই ঘটনায় আদালত কক্ষে চলল এলোপাথাড়ি গুলি। এর জেরে কুখ্যাত দুষ্কৃতী জিতেন্দ্র গোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত মোট তিনজন। পাশাপাশি এই গুলি চালানোর ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে কানা গিয়েছে যে, উত্তর দিল্লির রোহিণীতে আদালতকক্ষের মধ্যেই বিরোধী দুষ্কৃতী দলের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। বেশ কিছু দুষ্কৃতী আইনজীবীদের পোশাক পরে আদালতকক্ষে প্রবেশ করেছিল। বিচারকের সামনে গোগীকে পেশ করা মাত্র, তারা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী গোগীকে। সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল পালটা গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে মারা যায় দুই দুষ্কৃতীও। পুলিশের অনুমান, বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্যরাই তাকে পরিকল্পিতভাবে গোগীকে খুন করে এদিন। এই ঘটনায় গোগীর বিপক্ষ গ্যাংস্টার টিল্লু তাজপুরিয়ার গ্যাং যুক্ত থাকতে পারে বলেই অনুমান পুলিশের।

উল্লেখ্য, বছর দুই আগে জিতেন্দ্র এবং তার সহকারী কুলদীপ ফাজ্জাকে হরিয়ানার গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। গত ২৫ মার্চ পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কুলদীপ। স্পেশাল সেলের অধিকারিকদের দাবি ছিল, গোগীর গ্যাংয়ের সঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি যুক্ত রয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এদিন বিচারকের আসনের এক মিটারের মধ্যেই গুলি চলেছে বলে অভিযোগ। এই গোগীর বিরুদ্ধে ৫০ টি গুরুতর অপরাধের মামলা রয়েছে।

https://twitter.com/RahulChouhan92/status/1441320740771414027

সূত্রের খবর, এদিনের এই ঘটনায় আদালত চত্বরের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। আদালতে কর্মরত এক মহিলা আইনজীবীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। রোহিণীর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রণব তয়াল জানিয়েছেন যে, ‘আইনজীবীর পোশাক পরে আততায়ীরা আদালতের মধ্যেই গোগীর উপর গুলি চালায়। তার পর পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়েছে।’

https://twitter.com/ANI/status/1441324350880174083

সূত্রের খবর, দিল্লির ওই দুই দলের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। বিগত কয়েক বছরে এই দুই দুষ্কৃতী দলের সংঘর্ষের জেরে ২৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত জিতেন্দ্র গোগীর অপরাধ জগতে হাতেখড়ি ২০১০ সালে বাবার মৃত্যুর পর। স্কুলছুট গোগী প্রোমোটারি সংক্রান্ত কাজকর্ম শুরু করে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘২০১০ সালের প্রবীণ নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করে গোগী। সে বছরই অক্টোবরে দিল্লির শ্রদ্ধানন্দ কলেজের নির্বাচনে গোগী এবং তাঁর সহযোগীরা সন্দীপ এবং রবিন্দর নামের দুই যুবককে খুন করে। তখন তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর পর টাকা রোজগারের জন্য নতুন গ্যাং তৈরি করে সে।

এদিকে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত গ্যাংস্টারদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। গোগির উপরেই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে খবর। আচমকা এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আদালত এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটা প্রথমবার নয়, এর আগে ২০১১ সালে দিল্লি হাইকোর্টেও এ ধরনের গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। দুই গ্যাংস্টারদের গ্যাংওয়ারের ঘটনা নতুন নয়। পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজধানীর নিরাপত্তা প্রশ্নের সম্মুখীন।