মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

মুখে হাসি নিয়েই ভিডিও রেকর্ড করে আত্মহত্যা যুবতীর! পণের চাপেই কী সবরমতীতে ঝাঁপ? দেখুন

০৩:৪৮ পিএম, মার্চ ১, ২০২১

মুখে হাসি নিয়েই ভিডিও রেকর্ড করে আত্মহত্যা যুবতীর! পণের চাপেই কী সবরমতীতে ঝাঁপ? দেখুন

আত্মহত্যার আগে হাসিমুখে রেকর্ড করলেন ভিডিও। তারপরই সবরমতীর জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন বছর তেইশের এক যুবতী। জানা গিয়েছে, যুবতীটি বিবাহিতা এবং তাঁর নাম আয়েশা। নিজের ইচ্ছেতেই জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সপ্তাহের প্রথম দিন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠল এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার ভিডিও।

ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের সবরমতী নদীর তীরে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দু'মিনিটের ভিডিওতে ঠিক আত্মহত্যার আগের মুহূর্তে আয়েশা জানান তাঁর মনের কথা। এমনকি কথা বলতে বলতে বেশ আবেগতাড়িতও হয়ে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, "আমি যে সিদ্ধান্ত আমি নিতে চলেছি, তার জন্য কেউ আমাকে চাপ দেয়নি। বুঝেছি ভগবান আমাকে ছোট্ট জীবনই দিয়েছেন। বাবা, আর কত লড়বে তুমি? মামলা তুলে নাও। যে স্বাধীনতা চায় তাঁকে মুক্ত করে দাও।"

এখানেই শেষ নয়। মুখে হাসি নিয়েই আয়েশা বলে চলেন, "আমি আমার জীবন শেষ করতে চলেছি। আল্লার সঙ্গে দেখা হবে ভেবে আমি খুশি। দেখা হলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করব, আমি কী ভুল করেছি? আমার দোষই বা কী? এমন সুন্দর একলা নদীর কাছে আমার অনুরোধ, এই নদী যেন আমাকে নিজের মধ্যে জড়িয়ে নেয়। আমি হাওয়ার মতো উড়ে যেতে চাই। ভেসে যেতে চাই।" এরপরই নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।

দেখুন সেই ভিডিওটি-

[embed]https://twitter.com/zafarsareshwala/status/1365901949082734592?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1365901949082734592%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_c10&ref_url=https%3A%2F%2Fwww.timesnownews.com%2Fahmedabad%2Farticle%2Fdua-me-yaad-rakhna-harassed-by-hubby-ahmedabad-woman-films-video-with-smile-on-face-commits-suicide-in-sabarmati-river%2F726173[/embed]

ইতিমধ্যেই পুলিশ নদীর তীর থেকে আয়েশার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। আত্মহত্যার মর্মে মামলাও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ যদিও আয়েশার পরিবারের দাবী, পণের জন্য শ্বশুরবাড়ির অনবরত চাপেই এভাবে নিজের জীবন শেষ করেছেন তিনি। আয়েশার বাবা লিয়াকত আলি অভিযোগ তোলেন, "রাজস্থানের জালোরের বাসিন্দা আরিফ খানের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার। বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আমি কিছু টাকা দিতে পেরেছিলাম। কিন্তু ওদের লোভ এত ছিল যে, কিছু মাস আগে এ নিয়ে আরিফের সঙ্গে তুমুল অশান্তি হয় আয়েশার। তার পরই আহমেদাবাদে ফিরে আসে আয়েশা। যদিও ফোনে ওদের কথা হত।" অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে।