বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

নতুন মোবাইল কেনা নিয়ে বচসা! স্ত্রীর করুণ পরিণতি, গ্রেপ্তার স্বামী

০৬:১২ পিএম, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১

নতুন মোবাইল কেনা নিয়ে বচসা! স্ত্রীর করুণ পরিণতি, গ্রেপ্তার স্বামী

নতুন মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা। তার জেরে আত্মঘাতী হলেন স্ত্রী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট মহকুমা বাদুড়িয়া থানার নাগরপুর গ্রামে। ঘটনার জেরে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি আদৌ আত্মহত্যা না খুন, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে হাসনাবাদ থানার আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলটুকারির রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে বাদুড়িয়া নাগরপুরের হাফিজুল মণ্ডলের বিয়ে হয়৷ হাফিজুল পেশায় চাষী। বিয়ের যৌতুকে রোকেয়ার পরিবার সাধ্যমত মোটরবাইক, আসবাবপত্র, সোনার গহনা ও নগদ অর্থ দিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামীর চাহিদা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু দুঃস্থ রোকেয়ার পরিবার সেই চাহিদা মেটাতে পারেনি। এই নিয়ে একাধিকবার বচসা, গন্ডগোলের পর সালিশি সভা বসলেও সমাধানসূত্র মেলেনি।

এদিকে রোকেয়ার উপর দিনের পর দিন বেড়েই চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ননদ সকলে মিলেই অত্যাচারে সামিল ছিলেন বলে অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে প্রায়ই আড়াই বছর ও এক বছরে দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসতেন রোকেয়া। সম্প্রতি নতুন একটি মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে ফের রোকেয়া ও হাফিজুলের মধ্যে গণ্ডগোল, বচসা ও মারধোর শুরু হয়। গতকাল, শুক্রবারই রাত্রিবেলা পুরো বিষয়টা বাপের বাড়ির লোকজনদের জানান রোকেয়া। এরপর আজ সকালেই ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির পরিবার জানতে পারে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

এরপর সঙ্গে সঙ্গে রোকেয়ার পরিবার শ্বশুরবাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখে রোকেয়া আর নেই। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এদিকে বারবার জানতে চাইলেও পুরো ঘটনা গোপন করার চেষ্টা করে বধূটির শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃত বধূর মা আলেয়া বিবি, জামাই হাফিজুল, শাশুড়ি ফজিলা সহ চারজনের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, মেয়েকে পরিকল্পনা করে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্বামীকে আটকও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।