শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

আজও রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি! কবে কাটবে দুর্যোগ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

০৮:২৬ এএম, অক্টোবর ১৯, ২০২১

আজও রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি! কবে কাটবে দুর্যোগ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিম্নচাপের জেরে জেরবার রাজ্যবাসী। রাতভর বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ উত্তর ২৪ পরগণার বিভিন্ন জায়গায়। বাংলা এবং ওড়িশার উত্তর অংশে নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।

দুর্গা পুজোয় সেভাবে বৃষ্টি না হলেও, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আগে থেকেই ফের স্বমহিমায় বর্ষা। ফের তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। সেই কারণেই দশমী কাটতে না কাটতেই আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এবার আর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি নয়, হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে এবার গোটা রাজ্যজুড়েই ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টি চলবে। এর সঙ্গে বজ্রপাতের সম্ভবনাও রয়েছে।

তাই গত কয়েকদিন ধরেই এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিও হচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টিতে জেরবার মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন যে, কবে মিলবে এই বৃষ্টি থেকে মুক্তি? হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, লক্ষ্মীপুজো অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত এমনটাই থাকবে আবহাওয়া। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে মঙ্গলবার। এই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

https://twitter.com/ImdKolkata/status/1450085640280829957

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু জায়গায় আজ কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আর হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। আজ এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বুধবারের পর থেকে নিম্নচাপের প্রভাব কমতে শুরু করবে। ফলে টানা বৃষ্টি থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে, কোনওভাবেই পুরোপুরি দুর্যোগ কেটে, আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে, এমন কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতেই থাকবে।

উল্লেখ্য, একের পর এক নিম্নচাপে জেরবার বাংলা ও বাংলার মানুষ। বাংলার উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এই মুহূর্তে ওড়িশা লাগোয়া বাংলার উপর অবস্থান করছে। এর ফলে দখিনা পুবালি বাতাস প্রবল গতিতে এ রাজ্যের ভিতর প্রবেশ করেছে। এর জেরেই দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা, পাশের রাজ্য ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও ভারী বৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে একটি নিম্নচাপ ছিল আরব সাগরের পাশে। সেই নিম্নচাপের প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। অপর একটি নিম্নচাপ অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূল হয়ে ঢুকেছিল। যা এখন অবস্থান করছে মধ্য প্রদেশের উপর। তার জন্যই রবিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়।

মধ্য প্রদেশের নিম্নচাপ আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টানছে। বাংলার যে নিম্নচাপ সেও জলীয় বাষ্প টানছে। একই সঙ্গে ভূমধ্যসাগর থেকে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর ফলেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। অল্প সময়েই বেশি বৃষ্টিপাতের একটা প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই দেশের পূর্ব প্রান্ত, উত্তর পশ্চিম প্রান্ত এবং দক্ষিণ প্রান্তে বারবার বিপর্যয় ঘটছে।