বর্তমান সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই এর থেকে বাঁচতে আমাদের অবশ্যই এই সকল সাবধানতা গুলি অবলম্বন করতে হবে।
বজ্রপাতের মতো ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে বাইরে বেরোবেন না। খুব প্রয়োজন হলে রাবারের জুতা পায়ে বাইরে যেতে পারেন। বজ্রপাতের হচ্ছে দেখলে এই সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে একদমই থাকবেন না। কোনো ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিন।
বজ্রপাতের সময়ে ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে বসে, কানে আঙুল দিয়ে, মাথা নিচু করে বসে থাকুন। গাছের নিচে আশ্রয় নেবেন না। আর পারলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে পারেন। তবে অবশ্যই নিরাপদ থেকে।
টিনের চালা যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার থেকে দূরে অবস্থান করুন। এগুলো মারাত্মক হতে পারে।
বজ্রপাতের সময় যদি কখনো গাড়ির ভেতরে থেকে যান তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। যদি সম্ভব হয় গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
বাড়িতে থাকলেও জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় একদম থাকবেন না। এটিও মারাত্মক হতে পারে। সেই সময়ে বাড়ির সমস্ত জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভিতরে থাকা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং যতটা সম্ভব এগুলো বন্ধ রাখুন।
আর বাইরে বেরোলে এ সময়ে ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে প্লাস্টিকের অথবা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। খোলা মাঠে খেলাধুলা করতে যাবেন না বজ্রপাতের সময়ে।
বজ্রপাতের সময় নৌকায় থাকলে ছাউনিবিহীন নৌকায় যাবেন না, তবে এ সময় নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন। অনেকটাই সেফ থাকবেন। এছাড়াও বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির কোনো ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।