শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের উত্তরে সন্তুষ্ট হাইকোর্ট! প্রশংসিত রাজ্য সরকারের ভূমিকা

১০:২৫ পিএম, মে ১০, ২০২১

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের উত্তরে সন্তুষ্ট হাইকোর্ট! প্রশংসিত রাজ্য সরকারের ভূমিকা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। এই নিয়ে তৃতীয়বার বাংলার শাসনক্ষমতায় এল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রতিদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সমালোচনা করে চলেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বাংলার প্রতিটি জায়গায়, যেখানে যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে গিয়ে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের প্রশংসা করল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে মঙ্গলবার। সেদিনই হিংসার ঘটনা ও তাতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্যে ঘটা ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি আরেক আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসও আরেকটি মামলা দায়ের করেন একই বিষয়কে কেন্দ্র করে। ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তোলা হয় সেখানে। এ নিয়ে শুনানির জন্য ৫ বিচারপতির এক সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠিত হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে। বেঞ্চের অন্যান্য সদস্যরা– বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার, বিচারপতি সৌমেন সেন। প্রথমে এই মামলার অন্যতম পক্ষ ছিল কেন্দ্র সরকারও। সেসময়ই তাদের তরফে দাবি তোলা হয় যে, এ ধরনের ঘটনায় পক্ষপাতহীন তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হোক। সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার।

ভোট পরবর্তী হিংসাকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের অভিযোগ এবং আক্রমণের মুখে পড়লেও, বাংলায় ঘটে চলা ভোট পরবর্তী হিংসা দমনে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসাই করল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ শুনানিতে হাইকোর্টের ৫ সদস্যের বিচারপতিদের সাংবিধানিক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে, রাজ্যের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যথেষ্ট স্বাভাবিক। মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন, আর সেই জন্যই আলাদা করে সিট গঠনের এই মুহূর্তে কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।

উল্লেখ্য, আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে সোমবার উচ্চ আদালতে রাজ্যের তরফে বলা হল, ৭ এবং ৮ মে-র পর থেকে আর কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। রাজ্যের এই জবাবে সন্তুষ্ট হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হিংসা বন্ধের জন্য রাজ্য সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। সবাইকে একসঙ্গে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্য—সকলকে এই সমস্যার মোকাবিলার কথাও বলে হাইকোর্ট। কার দোষ সেটা পরে দেখা যাবে। পাশাপাশি আদালত এও বলে যে, আইন শৃঙ্খলা এখন রাজ্যের দায়িত্ব।

অন্যদিকে, মামলাকারীর পক্ষ থেকে রাজ্যের পেশ করা হলফনামার বিরোধিতা করা হয়েছে। তাই আদালত সোমবার নির্দেশ দিয়েছে যে, ফের একবার পুর্নাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে। মঙ্গলবার আবারও শুনানি রয়েছে এই মামলার।