শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

অবশেষে খোঁজ মিলল ‘নিখোঁজ’ হওয়া বাসের অর্ধেক অংশের! আলো ফুটতেই শুরু উদ্ধারকাজ, বাড়ল মৃতের সংখ্যা

০৯:২৬ এএম, আগস্ট ১২, ২০২১

অবশেষে খোঁজ মিলল ‘নিখোঁজ’ হওয়া বাসের অর্ধেক অংশের! আলো ফুটতেই শুরু উদ্ধারকাজ, বাড়ল মৃতের সংখ্যা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শেষপর্যন্ত খোঁজ পাওয়া গেল, ‘নিখোঁজ’ হওয়া বাসের অর্ধেক অংশের। উদ্ধারকারীদের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, নিচে খাদে আটকে রয়েছে। তাঁদের সন্দেহই সত্যি প্রমাণিত হয়। বাসটির অর্ধেক অংশ ৫০০ মিটার নিচে আটকে রয়েছে। তাই দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১৩ টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে উদ্ধারকারীদের মতে।

বুধবার দুপুরে আচমকাই হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় ভয়ঙ্কর ভুমিধস নামে। রেকং পেও-সিমলা হাইওয়ের মাঝেই আটকে পড়ে রাজ্য পর্যটন দফতরের একটি বাস, একটি ট্রাক ও কয়েকটি ছোট গাড়ি। ধসের প্রভাব এতোটাই বেশি ছিল যে, পাথরের ধাক্কায় বাসের চালক ছিটকে পড়ে যান। পরে উদ্ধারকারী দল বাসের চালককে উদ্ধার করে। গতকাল দুপুর থেকেই উদ্ধারকাজে নামে সেনা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং আইটিবিপির জওয়ানরা। একে একে উদ্ধার হয় ১১ টি দেহ। পরে এদিন সকালবেলায় আরও দুটি দেহ উদ্ধার হয়। এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে মোট ১৩ টি দেহ উদ্ধার হয়েছে।

গতকাল রাতেই উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, পাথর সরিয়ে চাপা পড়ে থাকা বাসটির খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। মাটি কাটার মেশিন দিয়ে পাথর সরানো হচ্ছে। বাসের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন আটকে রয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরপর গভীর রাতে উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, বাসের অর্ধেক অংশের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ধসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে ড্রোনের সাহায্যেও গোটা এলাকায় নজরদারি রাখা হয়।

https://twitter.com/ANI/status/1425620734747942913

এদিন সকালে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ফের শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সেই সময়ই রাস্তা থেকে ৫০০ মিটার নিচে ও সুতলেজ নদী থেকে ২০০ মিটার উপরে বাসের অর্ধেক অংশ আটকে থাকতে দেখা যায়। বাসটির নিচে পড়ে যাওয়া এবং তার উপর প্রচুর সংখ্যক বোল্ডার এসে পড়ায় উদ্ধারকাজে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এদিকে ওই বাসের ভিতরে আটকে থাকা যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভবনা ক্ষীণ বলেই মনে করছেন উদ্ধকারকারী দল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলের একাধিক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, ক্রমাগত পাহাড় থেকে নেমেই আসছে বোল্ডার-পাথর। ধসের জেরে আটকে পড়া গাড়িগুলির উপর তা আছড়ে পড়ছে। তবে, আইটিবিপির ২০০ জওয়ান অতি তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন। গতকালও গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চলে। তবে, ধসের জেরে মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায়, উদ্ধারকাজে সমস্যার পাশাপাশি বিপদের সম্ভবনাও তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন, এনডিআরএফকেও ডাকা হয়েছে উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য।