শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সুখবর, এবার মাত্র ৪ ঘণ্টায় হাওড়া থেকে পুরী পৌঁছতে পারবেন! দুরন্ত গতির ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রেলের

১০:৩২ পিএম, নভেম্বর ১২, ২০২১

সুখবর, এবার মাত্র ৪ ঘণ্টায় হাওড়া থেকে পুরী পৌঁছতে পারবেন! দুরন্ত গতির ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রেলের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ যাত্রী সুবিধার কথা বিবেচনা করে এবার রেলের পক্ষ থেকে নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের জেরে এবার থেকে জগন্নাথ ধাম পৌঁছাতে আর বেশি সময় লাগবে না। মাত্র ৪ ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাবেন শ্রীক্ষেত্রে। কি অবাক হচ্ছেন তো!

অবাক হওয়ারই কথা। তবে, এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। কথায় আছে বাঙালির ঘুরতে যাওয়া মানেই, ‘দীপুদা’। অর্থাৎ দিঘা-পুরী-দার্জিলিং। যা সংক্ষেপে দী-পু-দা। এবার থেকে সেই পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে যেতে আর বেশি সময় লাগবে না। অনেক্তা সময় বাঁচবে ট্রেন সফরে। আসলে, হাওড়া থেকে মুম্বই, চেন্নাই ও পুরী রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জোনগুলিকে প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে।

জানা গিয়েছে, এই হাইস্পিড ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। দেশের মধ্যে ৮টি রুটে চালানো হবে এই ট্রেন। আর এই জন্যই মাত্র ৪ ঘণ্টায় এবার পুরী পৌঁছে যেতে পারবেন। আবার হাওড়া থেকে ট্রেনে ১৪ ঘণ্টায় মুম্বই। হাওড়া থেকে চেন্নাই যেতে লাগবে ১৩ ঘণ্টা। ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগের হাইস্পিড ট্রেনে এই সময় লাগবে বলে রেল সূত্রে খবর।

দেশের ৮ রুটে এই হাইস্পিড ট্রেন চলার মধ্যে ৩টি রুটের ট্রেন চলবে হাওড়া স্টেশন থেকে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইস্পিড ট্রেনের জন্য প্রতিটি রুটে তৈরি হবে আলাদা ট্র্যাক ও রেক। রেল সূত্রে খবর, হাওড়া-মুম্বই রুটে হাইস্পিড ট্রেন পাড়ি দেবে ১ হাজার ৯৬৫ কিলোমিটার। যেখানে দুরন্ত এক্সপ্রেসে এখন মুম্বই যেতে সময় লাগে প্রায় ২৭ ঘণ্টা, সেখানে হাইস্পিড ট্রেনে সময় লাগবে প্রায় ১৪ ঘণ্টা।

অন্যদিকে, হাওড়া-চেন্নাই রুটে ১ হাজার ৬৫২ কিলোমিটার পাড়ি দেবে হাইস্পিড ট্রেন। এখন চেন্নাই মেলে সময় লাগে প্রায় ২৮ ঘণ্টা। হাইস্পিড ট্রেনে সময় কমে হবে প্রায় ১৩ ঘণ্টা। হাওড়া থেকে পুরীর দূরত্ব প্রায় ৫০২ কিলোমিটার। শতাব্দী এক্সপ্রেসে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা।  হাইস্পিড ট্রেনে প্রায় ৪ ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে পুরী।

এর বাইরেও দেশের আরও ৫ টি রুটে চালু হবে হাইস্পিড ট্রেন। রেল সূত্রে খবর, এর মধ্যে রয়েছে, দিল্লি থেকে চেন্নাই, মুম্বই থেকে চেন্নাই, চেন্নাই থেকে ব্যাঙ্গালোর, ব্যাঙ্গালোর থেকে হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই থেকে হায়দরাবাদ। রেলের পক্ষ থেকে এই হাইস্পিড চালানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, বেশি সময় লাগার কারণে অনেক যাত্রীই বিমান পরিবহনের দিকে ঝুঁকছিলেন। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত গতির ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। আপাতত এই হাইস্পিড ট্রেন চালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে উপযুক্ত রেক, ট্র্যাক ও বিশেষ সিগন্যালিং ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রতিটি জোনের হাতে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।