শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

‘চিংড়িঘাটায় একটাও দুর্ঘটনা দেখতে চাই না’! মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর আজ অতি তৎপর বিধাননগর পুলিশ

০১:৩৩ পিএম, নভেম্বর ১৮, ২০২১

‘চিংড়িঘাটায় একটাও দুর্ঘটনা দেখতে চাই না’! মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর আজ অতি তৎপর বিধাননগর পুলিশ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চিংড়িঘাটায় ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর পুলিশকে এই বিষয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, ‘আর একটা দুর্ঘটনা যেন না হয়। মানুষের জীবন অনেক দামি।’

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর, বুধবার মধ্যমগ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রোজ রোজ চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনা ঘটছে। কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর কমিশনারেটের দ্বন্দ্বের জেরে দুর্ঘটনা ঘটছে। তোমরা বসে সমস্যার সমাধান করো। আর একটিও দুর্ঘটনা চাই না। একজনেরও প্রাণহানি যেন না হয়।’

ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘চিংড়িহাটায় রোজ দুর্ঘটনা হয় কেন? কলকাতা পুলিশ বলে ওটা আমার নয়। বিধাননগর পুলিশ বলে ওইটুকুটা আমার। তোমাদের জন্য সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হবেন কেন? আমি ডিজিকে বলেছি, সিপিকেও বলেছি। ওখানে পরপর বেশ কয়েকটা দুর্ঘটনা হয়েছে যা হওয়ার নয়।’

মধ্যমগ্রামের সভায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত প্রশাসনিক তৎপরতা এবং ট্রাফিক আইনের ব্যবস্থা বাড়ানোর কথা বলেন। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে চিংড়িঘাটায় পরপর কয়েকটি দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের প্রাণ গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। পরপর এই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই গতকালই মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরই নড়েচড়ে বসে কলকাতা এবং বিধাননগর পুলিশ। বৈঠকের পরই তড়িঘড়ি যৌথ পুলিশি অভিযান হয়। এলাকা পর্যবেক্ষণে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য,  বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার এবং কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সন্তোষ পাণ্ডে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে পুলিশ।

অন্যদিকে, আজ সকাল থেকেই অতি-তৎপর বিধাননগর পুলিশ, বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড। রাখা রয়েছে অত্যাধিক ট্রাফিক কর্মী, হোমগার্ড, সিভিক ভলেন্টিয়ার। আজ সকাল থেকেই মাইকিং করা হচ্ছে। জায়েন্ট স্ক্রিন রাখা হয়েছে, কেউ হেলমেট না পড়লে বাধ্য করা হচ্ছে তা পরতে, রাস্তা পারাপারের জন্য আলাদা ব্যারিকেড রাখা হয়েছে, রাখা হয়েছে পুলিশ রিকভারি ভ্যান, আপাতকালীন ব্যবস্থা। পাশাপাশি কোনোরকম বিপদ হলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ এবং গাড়ির গতি কমানোর জন্য বারবার বলা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।