শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা আতঙ্কের মধ্যে বিপদ বাড়াচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’! সতর্কতা জারি কেন্দ্রের তরফে

১১:৪৮ এএম, মে ১০, ২০২১

করোনা আতঙ্কের মধ্যে বিপদ বাড়াচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’! সতর্কতা জারি কেন্দ্রের তরফে

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে টানা করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর, অবশেষে তা খানিকটা কমল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৬১ জন।

তবে, এর মধ্যেই নতুন করে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলা হয়, ‘মিউকরমাইকোসিস’। গুজরাত, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই এই সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এই ছত্রাকের সংক্রমণে ইতিমধ্যেই অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। পাশাপাশি মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। এই পরিস্থিতিতে এই ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নিয়ে সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং আইসিএমআর।

সেই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে, করোনা আক্রান্ত ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে এই ফাঙ্গাস দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু না হলে, তার পরিণাম হতে পারে মারাত্মক।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডায়বেটিস এই রোগ সংক্রমণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত কোনও রোগী যদি দীর্ঘদিন আইসিইউতে থাকে, তাহলে এই ছত্রাক সংক্রমণের সম্ভবনা তৈরি হয়। পাশাপাশি, উচ্চ স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারও এই রোগ সংক্রমণের একটি কারণ।

অন্যদিকে, ICMR-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, চোখ ও নাকের চারপাশে ব্যথা এবং লালচে ভাব, জ্বর, মাথা ব্যথা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বমিবমি ভাব এই রোগ সংক্রমণের অন্যতম লক্ষণ। পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে দাঁতে ব্যথা ও  দৃষ্টিশক্তিও হতে পারে। মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন হতে পারে বলে বলা হচ্ছে।

এই রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের ব্যবহার করতে হবে। পরিষ্কার পানীয় জল পান করতে হবে। অ্যান্টি-বায়োটিক এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধের সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করা খুবই জরুরি। এসবের পাশাপাশি 'মিউকরমাইকোসিস'-এ সংক্রমিত রোগীকে অ্যাম্ফোটেরসিন-বি ইঞ্জেকশন দেওয়াও জরুরি।