বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘প্রিয়াঙ্কা ভবানীপুর থেকে জিতলে আমার চেয়ারটা ওকে ছেড়ে দেব’! বড় ঘোষণা শুভেন্দুর

০৩:২৮ পিএম, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১

‘প্রিয়াঙ্কা ভবানীপুর থেকে জিতলে আমার চেয়ারটা ওকে ছেড়ে দেব’! বড় ঘোষণা শুভেন্দুর

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই কেন্দ্রে মমতার বিপক্ষে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আজই ছিল শেষ প্রচার।

এদিন সকালেই যদুবাবুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। সেই ঘটনার কিছু পরেই সেখানে নির্বাচনী সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এদিনের সেই সভা থেকে বড় ঘোষণা করলেন তিনি। তিনি নির্বাচনী সভা থেকে ঘোষণা করেছেন যে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারলে, শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে বিরোধী দলনেতার চেয়ার ছেড়ে দেবেন।

এদিন নির্বাচনী প্রচারের একেবারে শেষলগ্নে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের একবার আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজেই হেরে চলে এসেছেন। এমন বাউন্ডারি মেরেছি এখানে চলে এসেছে।’ শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের সুরে আরও বলেন যে, ‘উনি নাকি ত্যাগের প্রতীক বলেন। অথচ বলছেন আমাকে ভোট দাও।’ এখানেই শেষ নয়। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন যে, ‘আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে বলব, প্রিয়াঙ্কা ভবানীপুর থেকে জিতলে আমার চেয়ারটা ওঁকে ছেড়ে দেব।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শারীরিক অসুস্থার জন্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হননি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আবারে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জিতে মন্ত্রী হয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে, এই কেন্দ্র থেকে পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ায় বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন তিনি। এই প্রসঙ্গ তুলেও এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আবার বিভিন্ন সভায় বিভিন্ন সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁর দলের নেতাদের বারবার নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপির অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে এর আগে। নন্দীগ্রামে ভিভিপ্যাট মেশিন গোনা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ করতে দেখা গেছে। এবার সেইসব অভিযোগেরও উত্তর দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ’২৯ তারিখ সাংবাদিক সম্মেলন করে আমি বাংলার জনগণকে সব দেখাবো। সবচেয়ে বড় মিথ্যেবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’