বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

অপরাধ হোমওয়ার্ক না করা! 'শাস্তি' হিসেবে শিশুর গায়ে গরম মোম ঢেলে দিলেন গৃহশিক্ষক

০৭:০২ পিএম, আগস্ট ২৬, ২০২১

অপরাধ হোমওয়ার্ক না করা! 'শাস্তি' হিসেবে শিশুর গায়ে গরম মোম ঢেলে দিলেন গৃহশিক্ষক

একরত্তির শিশুর অপরাধ, সে হোম ওয়ার্ক করেনি। 'শাস্তি' হিসেবে শিশুটির গায়ে মোম ঢেলে দিলেন গৃহশিক্ষক। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রটি। তার হাতে পায়ে ফোস্কা পড়ে গিয়েছে। ওই ছাত্রের মা গোলাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে খোদ পুলিস কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত এখন পলাতক।

অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায়। সূত্রের খবর, ছাত্রটির বাড়ি সালকিয়ায়। বাবা স্থানীয় এক ফুল বিক্রেতা। সালকিয়াতেই গৃহশিক্ষক দীপক প্রজাপতির কাছে পড়ত তাঁর তিন ছেলে-মেয়ে। গত ১৪ অগাস্ট সন্ধ্যেবেলায় ওই গৃহশিক্ষক ফুল বিক্রেতার বাড়িতে পড়াতে যান। সেই সময় বাড়িতে ছাত্রদের বাবা-মা ছিলেন না। দাদা এবং দিদির সঙ্গেই পড়তে বসে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রটি। পরে ওই শিক্ষক শিশুটিকে পড়া ধরলে সে না পারায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন তিনি। অভিযোগ, এরপরই মোমবাতি জ্বালিয়ে বাচ্চাটির গায়ের গরম মোম ঢেলে দেন শিক্ষকটি। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম হাতা দিয়ে ছ্যাঁকাও দেন।

ঘটনার জেরে শিশুটির হাতে, পায়ে ও পিঠে বড় বড় ফোস্কা পড়ে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে সে। পরে বাবা-মা বাড়ি ফিরে এলে তাঁদের সমস্ত ঘটনা খুলে বলে শিশুটির দিদি ও দাদা। শোনামাত্রই শিশুটিকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তার বাবা-মা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর এরপর গোলাবাড়ি থানায় গিয়ে পুলিশকে গোটা ঘটনাটা জানান ওই ফুল বিক্রেতা। পরদিন হাওড়া জেলা হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করেন।

এরপর গত ১৯ অগাস্ট দীপক প্রজাপতির বিপক্ষে গোলাবাড়ি থানায় এফআইআর দায়ের করেন শিশুটির মা। কিন্তু পুলিস প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর প্রতিবেশীদের সহায়তায় শিশুটির মা বুধবার হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। কমিশনারের নির্দেশেই এবার গোলাবাড়ি থানা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত। শিশুটির পরিবার চাইছে অবিলম্বে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হোক।