শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

করোনার চোখে চোখ রেখে লড়াই! সুস্থ হয়ে ডাক্তারকে জড়িয়ে ধরলেন কলকাতার ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা!

০৪:৩১ পিএম, মে ৫, ২০২১

করোনার চোখে চোখ রেখে লড়াই! সুস্থ হয়ে ডাক্তারকে জড়িয়ে ধরলেন কলকাতার ৭৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা!

দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও লাগামছাড়া ভাবে বাড়ছে করোনা। সংক্রমণের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে তীব্র অক্সিজেন সঙ্কট। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে হাহাকার। মারণ এই ভাইরাস কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণই। বিশেষ করে, বয়স্ক মানুষগুলি এখন রীতিমতো আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। নিত্যদিনই যেন নতুন করে ভয় এসে গ্রাস করছে তাঁদের।

রাজ্যের এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আচমকাই কিছু কিছু এমন খবর সামনে আসছে, যা এই সঙ্কটেও জ্বালাচ্ছে আশার আলো। যোগাচ্ছে ভরসা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এল এমনই এক খবর। যা খোদ মহানগরেরই ঘটনা। এই শহরেরই বুকে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা করোনার চোখে চোখ রেখে লড়াই শেষে জয়ী হয়ে ফিরেছেন। করোনা কাড়তে পারেনি তাঁর প্রাণ। বরং দিন কয়েকের যুদ্ধ শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি। তবে ফেরার আগেই তিনি যে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তা নেটিজেনদের চোখে জল এনে দিতে বাধ্য! ছাড়া পাওয়ার আগে চিকিৎসারত ডাক্তারকেই জড়িয়ে ধরেছেন তিনি। এই ছবিই এখন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

ছবিগুলি নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছেন তন্ময় দে বলে এক নেটিজেন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে কিছুদিন আগেই কলকাতার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি হন ওই বৃদ্ধা। বিগত ১০ দিন ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবশেষে লড়াই শেষে করোনাকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন বছর পঁচাত্তরের বৃদ্ধাই। কোভিড-যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাড়ি ফেরার আগেই আবেগের বশে চিকিৎসারত ডাক্তারকে জড়িয়ে ধরেন। জানা গিয়েছে, ডাক্তারটির নাম অভিষিক্তা মল্লিক। বৃদ্ধার ভালোবাসায় রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তিনিও।

[embed]https://www.facebook.com/drtanmoydeyofficial/posts/228794909043821[/embed]

আবেগপ্রবণ এই ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় নেয়নি। খোদ কলকাতাতেই করোনা জয়কে ফিরেছেন ৭৫-এর ওই বৃদ্ধা! নেটিজেনদের কাছে এর চেয়ে আশার খবর আর কি-ই বা হতে পারে! পাশাপাশি ডাক্তারের সঙ্গে বৃদ্ধাটির ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার মুহূর্তগুলি চোখে জলও এনে দিয়েছে নেটিজেনদের। বৃদ্ধা এবং ডাক্তার, দুজনেরই দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন তাঁরা। রাজ্যের কোভিড যুদ্ধে ঠিকঠাক এক করে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ জানাতেও ভোলেননি কেউই।