বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

কোভিড যোদ্ধা! রোজার উপোস রেখেই করোনা আক্রান্তদের সেবায় ব্যস্ত গর্ভবতী এই নার্স!

০৮:৫১ পিএম, এপ্রিল ২৪, ২০২১

কোভিড যোদ্ধা! রোজার উপোস রেখেই করোনা আক্রান্তদের সেবায় ব্যস্ত গর্ভবতী এই নার্স!

দিনের পর দিন চড়ছে করোনার গ্রাফ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। তবে দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতেও কিন্তু নিজেদের কাজ বন্ধ রাখেননি কোভিড-যোদ্ধারা। নিজেদের কাজ নিষ্ঠা ভরে ঠান্ডা মাথায় সামলে যাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষ করে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের এখন বিন্দুমাত্রও সময় নেই অন্য কোনও দিকে তাকাবার। নিজেদের শত অসুবিধাকে তুচ্ছ করেই মানুষের সেবায় প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল সেরকমই আরেক আত্মত্যাগের ঘটনা। যেখানে গর্ভে সন্তান নিয়ে রমজান মাস পালন করেই করোনা রোগীদের দিন-রাত সেবা করেছেন অন্তঃসত্ত্বা নার্স।

নজিরবিহীন এই ঘটনার সাক্ষী রইল গুজরাট। সেখানে সুরাটের অটল কোভিড ১৯ সেন্টারে কাজ করেন নার্স ন্যান্সি আয়েজা মিস্ত্রি। তিনি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভে রয়েছে সন্তান। তা সত্ত্বেও করোনা রোগীদের সেবায় দিন-রাত উজার করে দিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ ঘন্টা কাজ করেন তিনি৷ পাশাপাশি চলে রমজান মাস পালনও। প্রতিদিন রোজার উপোস রেখেই কোভিড আক্রান্তের চিকিৎসা করতে হাজির হয়ে যান ন্যান্সি৷

যদিও গর্ভবতী অবস্থায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই। মায়ের শরীর থেকে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরেও প্রভাব ফেলতে পারে ভাইরাস। এ বিষয়ে চিকিৎসকরাও সাবধানবাণী দিয়েছেন। তবু সেসব ঝুঁকি মাথায় নিয়েই নিজ কর্তব্যে অটল ন্যান্সি। তাঁর কথায়, "আমার গর্ভে সন্তান থাকলেও আমার কাজটিও অতি গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বরের ইচ্ছেতেই পবিত্র রমজানের মাসে উপোস রেখেই রোগীদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি আমি। নিজের কর্তব্য পালন করে যেতে চাই।" পাশাপাশি নিজের সন্তানের দিকেও যথেষ্ট নজর রয়েছে তাঁর। রোগীদের সেবার পাশাপাশি গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে যাতে এতটুকু আঁচ না পড়ে, সে খেয়ালও রাখছেন কর্তব্যপরায়ণ এই নার্স।

প্রসঙ্গত, গত বছরও করোনাকালীন পরিস্থিতিতে একই রকম ভাবে রোগীদের সেবা করে গিয়েছিলেন ন্যান্সি। একই সেন্টারে ছিল তাঁর দায়িত্ব। তবে এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যেন আরও ভয়াবহ। তাই সব কিছু ছেড়ে করোনার মোকাবিলাতেই লেগে রয়েছেন ন্যান্সি সহ দেশের অন্যান্য কোভিড যোদ্ধারা। দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের স্বার্থ ভুলে আত্মবলিদান এবং কর্তব্যপরায়ণতায় যেন এক অনন্য নজির গড়ে তুলেছেন তাঁরা।