বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

অভাবনীয়! মাত্র ২১ বছর বয়সেই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের পদে বসলেন উত্তরপ্রদেশের এই কন্যে

০৭:১৪ পিএম, মে ৭, ২০২১

অভাবনীয়! মাত্র ২১ বছর বয়সেই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের পদে বসলেন উত্তরপ্রদেশের এই কন্যে

চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় রাজ্যে শোনা গিয়েছিল তরুণদের জয়গান। বর্ষীয়ান নেতাদের পিছনে ফেলে উঠে এসেছিলেন তারুণ্যে ভরা নতুন কিছু মুখ। প্রার্থী হিসাবে ভোটের লড়াইয়েও সমান তালে লড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। হয়তো জয় আসেনি, কিন্তু তরুণ তুর্কীদের এই লড়াই অবিস্মরণীয় হয়েই থেকে যাবে। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, এই রাজ্যের বাইরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই এবার রাজনৈতিক মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন বহু নতুন মুখই। ঠিক সেরকমই প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের আরুশি সিং। সম্প্রতি গ্রামের সভা প্রধানের পদে বসলেন মাত্র ২১ বছরের এই কন্যে!

উত্তরপ্রদেশের গোন্দার গ্রাম সভা প্রধান হিসাবে এখন থেকে দেখা যাবে আরুশিকেই৷ এ বছর গোন্দার ওয়াজিরগঞ্জ ব্লকের সেহরিয়া গ্রামের সভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বছর একুশের আরুশি। দেশের আইন অনুসারে গ্রাম সভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ন্যূনতম ২১ বছর। তাই ২১ বছর হওয়া মাত্রই ভোটে দাঁড়িয়েছেন আরুশি। তাঁকে নিয়ে মোট ৪ জন প্রার্থী ছিল সেখানে। সেখানে বাকি তিন জনকে পিছনে ফেলে ৩৮৪ ভোটে জিতেছেন আরুশি। এরপরই গ্রামের প্রধানে পদে বসেন তিনি।

জানা গিয়েছে, আরুশি বর্তমানে লখনউ ইউনিভার্সিটির অধীনে থাকা সিটি ল' কলেজে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। লখনউতে থেকেই পড়াশোনা করলেও নির্বাচনের কাজের জন্য মার্চ থেকেই গ্রামে রয়েছেন তিনি। গ্রামবাসীদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। করোনার বিধিনিষেধ সম্পর্কে গ্রামবাসীদের অবগত করার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার দিকে জোর দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি গ্রামের উন্নয়নের জন্যও বেশ খেটেছেন আরুশি। আর ভোটে জিতেই তাঁর বার্তা, গ্রামে যাতে ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিকঠাক থাকে, সে ব্যাপারে বিশেষ নজর দেবেন তিনি।

[embed]https://twitter.com/Harsh_0880/status/1390149657804763141?s=20[/embed]

প্রসঙ্গত, ছেলেবেলা থেকেই রাজনৈতিক পরিবেশেই বড় হয়েছিলেন আরুশি৷ তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্র সিং লখনউয়ের পুলিশ কমিশনারের অফিসে স্টেনোগ্রাফার। মা গরিমা সিং সিভিল কোর্টের ডিস্ট্রিক্ট জাজ। ফলে রাজনীতির মঞ্চে প্রবেশ যেন লেখাই ছিল তাঁর নিয়তিতে। আর প্রথমবারেই অসাধ্যসাধন করে গ্রামের প্রধান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতও করে ফেলেছেন আরুশি। যদিও এখানেই থামতে চান না তিনি। চান বছর গ্রাম থেকে বেরিয়ে দেশের রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে। তাঁর স্বপ্ন ভারতকে নতুন রূপে গড়ে তোলার। সব দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ করে তোলার। সেই স্বপ্ন অচিরেই সফল হবে, এই আশাতেই এখন বিভোর একুশের এই কন্যে।