বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

করোনা আক্রান্ত মায়ের মুখে মুখ রেখে অক্সিজেন দেওয়ার শেষ চেষ্টা দুই মেয়ের! করুণ দৃশ্য উঠে এল নেটদুনিয়ায়

০৮:৫৭ পিএম, মে ৩, ২০২১

করোনা আক্রান্ত মায়ের মুখে মুখ রেখে অক্সিজেন দেওয়ার শেষ চেষ্টা দুই মেয়ের! করুণ দৃশ্য উঠে এল নেটদুনিয়ায়

দেশে দিনের পর দিন চড়ছে করোনার গ্রাফ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। এরই মধ্যে সারা দেশে হাসপাতাল বেড এবং অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বেড এবং অক্সিজেন নিয়ে দেশ জুড়ে এখন শুধুই হাহাকার। চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেনের যোগান নেই। তাই ইতিমধ্যেই তীব্র অক্সিজেন সংকটের মধ্যে পড়েছে একের পর এক রাজ্য। কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অক্সিজেনের ঘাটতির নানা খবর।

দেশের এরকম করুণ দশার মধ্যেই সম্প্রতি প্রকাশ্যে এল এমনই এক ঘটনা, যা ফের মনে করাচ্ছে করোনার ভয়াবহতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরপ্রদেশের বাহারিক জেলায়। সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক মহিলার জন্য কিছুতেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি পরিবারের লোক। এদিকে অক্সিজেন লেভেল দ্রুত কমে আসছে তাঁর। উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে কোভিড আক্রান্ত মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের মুখে মুখ রেখে অক্সিজেন দিতে দেখা গেল দুই মেয়েকে। মায়ের মুখে এভাবেই অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। প্রাণপণ চেষ্টা করেন কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস দিয়ে মাকে বাঁচিয়ে তুলতে।

তবে শেষরক্ষা আর হয়নি। মারা যান ওই মেয়ে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবী অক্সিজেনের অভাবে নয়, শারীরিক সংকটেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। এই প্রসঙ্গে বাহারিক জেলার সরকারি ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার আথিসাম আলি জানান, ওই মহিলার অবস্থা সংকটজনক ছিল। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করতে করতেই মারা যান তিনি। অন্যদিকে মহারাজ ডঃ একে সাহানি বলেন, "যখন ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখনই তাঁর অবস্থা সংকটজনক ছিল। সেটা তাঁর পরিবারও স্বীকার করেছে। হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি নেই। মা'কে বাঁচাতে ওই মহিলার দুই মেয়েই আবেগপ্রবণ হয়েই মুখ দিয়ে শ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।"

যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেন জেলা প্রশাসক শম্ভূ কুমার। যেখানে যোগী সরকার বারবার বলে আসছে, রাজ্যে অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই, সেখানে অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু যেন সরকারের পক্ষেই অশনী সংকেত। তাই এই দৃশ্য প্রকাশ্যে আসতেই বেশ অস্বস্তিতে পড়ে প্রশাসন। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ওই মহিলাকে পরীক্ষাও করানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত করোনায় মৃতই ঘোষণা করা হয় তাঁকে।