বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, দেশ এখনও করোনার কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তার মধ্যেই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে দেশ। আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের উপর। সম্প্রতি করোনার টিকার প্রক্রিয়াকে আরও সুগম এবং ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ‘হর ঘর দস্তক’ প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রকল্প অনুসারে এবার মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে আসবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এদিকে, উৎসবের মরশুমেও দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। তবে, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ফিরছে দেশ। স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় স্বস্তি দিয়ে অনেকটাই কমল দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩০২ জন। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেকটা কম। গতকাল দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ১০৬ জন। দূষণ নিয়ে চিন্তিত রাজধানী দিল্লিতেও আপাতত অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে সংক্রমণ। তবে, এখনও চিন্তায় রাখছে কেরলের কোভিড গ্রাফ। শুধু দক্ষিণের রাজ্যটিতেই একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭৫৪।
https://twitter.com/ANI/status/1461905273497395208এদিকে, রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত্যুর সংখ্যাও গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই কমেছে। মারণ ভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬৭ জন। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৫৯ জন। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কমায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি মিলেছে। দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩৪৯ জন। এই সংখ্যাটাও বেশ চিন্তার।
সংক্রমণ কমার পাশাপাশি প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ কেস। সক্রিয় রোগীর নিম্নমুখী গ্রাফই আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশের অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৬৮ জন। গত ৫৩১ দিনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আজ সর্বনিম্ন। অর্থাৎ ১ শতাংশেরও কম। গত বছর মার্চ মাসের এই প্রথম এতটা কম অ্যাকটিভ কেস। ধীরে ধীরে বাড়ছে সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৯ হাজার ৭০৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭৮৭ জন। সুস্থতার হার ৯৮.২৯ শতাংশ।
করোনা মোকাবিলায় প্রধান অস্ত্র টিকাকরণ। উৎসবের মরশুমে গতি হারিয়েছিল টিকাকরণ। যা ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজ। ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে দেশের সমস্ত মানুষ অন্তত প্রথম ডোজ পান, সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকেও সেই মর্মে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১১৫ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৭৪ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৫১ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১০ লক্ষের ৭২ হাজার ৮৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।