বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নাবালিকাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’! অবশেষে গ্রেফতার বছর ৮১-র স্কেচ শিল্পী

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২২, ০৮:০৮ পিএম | আপডেট: মে ১৭, ২০২২, ০২:২৭ এএম

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নাবালিকাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’! অবশেষে গ্রেফতার বছর ৮১-র স্কেচ শিল্পী
দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নাবালিকাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’! অবশেষে গ্রেফতার বছর ৮১-র স্কেচ শিল্পী / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশজুড়ে নারীদের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে দেশের কোথাও না কোথাও একজন নারী, নাবালিকা বা শিশুকন্যা পুরুষের যৌন লালসার শিকার হয়ে চলেছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ ঘটনাই থেকে যায় আড়ালে। শুধুই কি ধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুন, যৌন পল্লিতে বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনাও এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এখন তো মহিলাদের উপর উপর হওয়া নির্যাতনের সংজ্ঞাও পরিবর্তিত হচ্ছে। সম্প্রতি আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে এই বিষয়ে যে, বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? অপরাধের সংজ্ঞাও পাল্টাচ্ছে। এমনই এক অপরাধের ঘটনা প্রকাশ্যে এল।

নয়ডার বছর ৮১-র এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’-এর। ওই বৃদ্ধ আবার পেশায় একজন স্কেচ শিল্পী। অভিযোগ, গত ৭ বছর ধরে ওই স্কেচ শিল্পী বছর ১৭-র নাবালিকাকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ করত। পুলিশ নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। 

উপরিউক্ত ঘটনা প্রসঙ্গে নয়ডার পুলিশ জানিয়েছে যে, এলাকার একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত ১৭ বছরের ওই নাবালিকা। দীর্ঘদিন এই বাড়িতে থেকেই সে কাজ করত। এদিকে, বাড়ির অভিযুক্ত ব্যক্তি মালিকের বন্ধু এবং স্কেচ শিল্পী। তাই প্রায়শই ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল ওই ব্যক্তির। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ১০ বছর বয়স থেকেই তাঁকে একা পেলেই অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের যৌন লালসা মেটাত। কিন্তু সে ভয়ে কাউকে কিছু বলত না। তবে, সম্প্রতি ওই নাবালিকা সাহস করে ঘটনার অডিও ও ভিডিও রেকর্ড করে। এরপর অভিযোগ জানানোর সময় সেই অডিও ও ভিডিও ক্লিপ পুলিশের হাতে তুলে দেয় নির্যাতিতা নাবালিকা। 

এরপরই প্রমাণ ও অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বৃদ্ধ শিল্পিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ডিসেম্বরের আগে এই ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’-এর বিষয়টি সকলের কাছেই অজানা ছিল। এই শব্দটির কোনও জায়গা ছিল না ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায়। তবে, দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের পরই এক বিশেষ ধরনের ধর্ষণকে ডিজিটাল ধর্ষণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। তবে, নাম ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ হলেও, এই বিষয়টির সঙ্গে মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক যন্ত্রের কোনও যোগ নেই।  ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ মানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোনও মেয়ে বা ছেলের উপর যৌন নির্যাতন করাও নয়। ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’- এর অর্থ অভিযুক্ত ব্যক্তির হাত বা পায়ের ব্যবহার করে নিজের যৌন লালসা চরিতার্থ করা।