বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ফের দলিত নির্যাতনের সাক্ষী উত্তরপ্রদেশ! নাবালককে মারধর করে বাধ্য করা হল পা চাটতে

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২২, ০২:১৭ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২২, ০৮:১৭ পিএম

ফের দলিত নির্যাতনের সাক্ষী উত্তরপ্রদেশ! নাবালককে মারধর করে বাধ্য করা হল পা চাটতে
ফের দলিত নির্যাতনের সাক্ষী উত্তরপ্রদেশ! নাবালককে মারধর করে বাধ্য করা হল পা চাটতে

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উচ্চ-নিম্নশ্রেণির ভেদাভেদ সৃষ্টির আদিকাল থেকেই চলে আসছে। ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে যেখানে সমাজ ক্রমশই আরও উন্নতির পথে হাঁটছে সেখানে এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অব্যাহত রয়েছে জাতপাতের বিচার। সেখানে নিম্নশ্রেণীর মানুষরা প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত, বঞ্চিত! বিশেষ করে দলিতদের প্রতি সমাজের উচ্চশ্রেণীর মানুষের অমানবিক অত্যাচারের কথা প্রায়শই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। এবার এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশ। ক্যামেরায় ধরা পড়ল অমানবিকতার ছবি।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জাতপাতের ভেদাভেদের শিকার হয়ে দলিতদের যে কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে তা এই ভিডিওয় উঠে এসেছে। ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে এক দলিত কিশোরের মারাত্মক নিগ্রহের শিকার হওয়ার ছবি উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছে কিশোরকে বলপূর্বক পা চাটতে বাধ্য করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত ১০ এপ্রিলের। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে কান ধরে মাটিতে বসে রয়েছে দলিত কিশোর। অভিযুক্তদের কেউ বসে রয়েছে বাইকে আবার কেউ কেউ কিশোরকে দেখে মারাত্মক বিদ্রুপ করে। রীতিমতো ভয়ে কুঁকড়ে যায় সে। নাবালককে কুৎসিত গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই তা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়।

ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালক। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বেশ কয়েকজন উচ্চ শ্রেণীর অন্তর্গত। জাতপাতের বশবর্তী হয়ে দলিত নাবালককে এহেন অত্যাচার করে তারা। নাবালকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের উত্তর প্রদেশ পুলিশ প্রশাসনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়। সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।

তবে কেবল জাতের ভেদাভেদ নয়, এই ঘটনার পেছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। জানা গিয়েছে, অত্যাচারিত ওই কিশোর দশম শ্রেণীর ছাত্র। বিধবা মায়ের সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাস করে সে। তার মা অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের পারিবারিক জমিতে মজুরের কাজ করেন। মায়ের প্রাপ্য পারিশ্রমিক চাইতেই সেদিন ওই অভিযুক্তের দ্বারস্থ হয় কিশোর। টাকা চাইতেই রাগের মাথায় কিশোরের ওপর চড়াও হয় অভিযুক্ত। শুরু হয় মারধর। পরে তাকে বাধ্য করা পা চাটতে। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় হইচই। সমাজ প্রগতির পথে এগোলেও কবে থামবে জাতপাতের বিচার? উঠছে প্রশ্ন।