বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কলেজ পরিদর্শনে এসে আচমকাই অধ্যক্ষের গালে চড় বিধায়কের! নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম | আপডেট: জুন ২২, ২০২২, ১০:৩৮ পিএম

কলেজ পরিদর্শনে এসে আচমকাই অধ্যক্ষের গালে চড় বিধায়কের! নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়
কলেজ পরিদর্শনে এসে আচমকাই অধ্যক্ষের গালে চড় বিধায়কের! নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। গুজরাটের এক কলেজের অধ্যক্ষাকে হেনস্তা হতে হয়েছিল এক ছাত্র নেতার হাতে। এমনকি অধ্যক্ষাকে বাধ্য হয়ে এক ছাত্রীর পায়ে হাত দিয়ে ক্ষমাও চাইতে হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও কলেজের অধ্যক্ষ হেনস্তার ঘটনা ঘটল।

এবারের ঘটনার স্থান কর্ণাটক। এবার খোদ বিধায়কের হাতে হেনস্থার শিকার হলেন এক আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষ। বিধায়ক কোনও বিবেচনা না করেই সপাটে ওই অধ্যক্ষের গালে চড় কষালেন। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। তারপরই শুরু বিতর্কের, সেই সঙ্গে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

ঠিক কই ঘটেছিল সেদিন, কেনই বা এমন আচরণ বিধায়কের? জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের মান্ডিয়ায় চলতি মাসের ২০ জুন এই লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটে। ওইদিন নালওয়াড়ি কৃষ্ণা রাজা ওয়ারিয়ার আইটিআই কলেজ পরিদর্শনে আসেন জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) বিধায়ক শ্রীনিবাস। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওই কলেজের মূল ভবন-সহ একাধিক ভবনের সংস্কারের কাজ হয়েছে। 

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন পরিদর্শনে এসে কলেজের কম্পিউটার ল্যাবের সংস্কার কতোটা হয়েছে তা জানতে চান বিধায়ক। কিন্তু ওই মুহূর্তে প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি কলেজের অধ্যক্ষ। আর তাতেই বেজায় চোটে যান বিধায়ক। এবং আচমকাই অধ্যক্ষের গালে চড় মারেন। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিধায়কের সঙ্গে বেশ কয়েকজন নেতা এবং কলেজেরও কয়েকজন কর্মী রয়েছেন। একজন মহিলাও পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের সবার সামনেই অধ্যক্ষের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে, চড় মারার ভঙ্গিতে হাত তোলেন বিধায়ক। এরপর তো সপাটে থাপ্পড় মেরেই দেন অধ্যক্ষকে। সেখানে উপস্থিত বাকিরা এই ঘটনার আকস্মিকতায় ঘাবড়ে যান। কিন্তু কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি ওই বিধায়কের এমন কাজের। 

নেট পাড়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হতেই জনতা দলের ওই বিধায়ককে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এভাবে একজন কলেজের অধ্যক্ষের গায়ে হাত তোলার কড়া নিন্দা করেছেন সকলেই। যেমন টুইটারে এক নেটিজেন মন্তব্য করেন যে, ‘বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো উচিত অধ্যক্ষের।’ কেউ আবার অধ্যক্ষের সহকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন? কীভাবে তাঁরা সেখানে দাঁড়িয়ে ওই ঘটনা দেখলেন, প্রতিবাদ করলেন না তা জানতে চেয়েছেন।