শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

অগ্নিপথ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় গ্রেফতারির ভয়! চরম সিদ্ধান্ত ২৩ বছরের যুবকের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম | আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২২, ১০:৩৩ পিএম

অগ্নিপথ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় গ্রেফতারির ভয়! চরম সিদ্ধান্ত ২৩ বছরের যুবকের
অগ্নিপথ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় গ্রেফতারির ভয়! চরম সিদ্ধান্ত ২৩ বছরের যুবকের / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কয়েক মাস আগেই কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় দেশব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। দেশের বিভিন্ন জায়গা এই প্রকল্পের বিরোধিতায় হওয়া আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ ধারণ করছিল ধীরে ধীরে। সেই সময় এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার এক যুবকও। 

সেই যুবকই সম্প্রতি গোদাবরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। ওই যুবকের বাবা দাবি করেছেন যে, অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হওয়ায় গ্রেফতার হওয়ার ভয় পাচ্ছিলেন সম্প্রতি তাঁর ছেলে। সেই ভয় থেকেই আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত ছেলে। 

শুক্রবার তেলেঙ্গানার পুলিশ জানিয়েছে, গোদাবরীর ঘাট থেকে ২৩ বছরের ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের তরফে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, ওই যুবক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে, যুবকের আত্মহত্যার যে কারণ তাঁর বাবা যে দাবি করছেন, তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।  

মৃত যুবকের বাবা জানিয়েছে, যে সময় দেশব্যাপী কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় হিংসাত্মক আন্দোলন ছড়ায়, সেই সময়ই সেকেন্দ্রাবাদ রেল স্টেশনে পরিস্থিতি খবুই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একদিন। স্টেশনে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। সেনায় চাকরিপ্রার্থীরা ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেন। যদিও পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু সেদিন সেকেন্দ্রাবাদে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ওই মৃত যুবকও ছিলেন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বেশ কয়েকদিন ধরেই ভয়ে ছিলেন ওই যুবক। যুবকের বাবা বারবার দাবি করেছেন, এই ভয় ও আশঙ্কা থেকেই গোদাবরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর ছেলে। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রকল্প সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে উত্তাল হয় গোটা দেশ। শুধুমাত্র সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনই। গোটা দেশজুড়েই বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গত মাসেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, সেনায় চাকরিপ্রার্থীদের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে করা আন্দোলনের জেরে রেলের ক্ষতি হয়েছে মোট ২৫৯ কোটি টাকা। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, রেলের সম্পত্তি নষ্ট  হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বহু ট্রেন বাতিল করতে হয় বাধ্য হয় রেল কর্তৃপক্ষ।