বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গরু পাচারকাণ্ডে এই মুহূর্তে জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে, ফের একবার এই মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন কেষ্ট। ইডি তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা কোর্টে চেয়েছিল। এদিনই দিল্লি হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি স্থগিত হল। কিন্তু কতদিন স্থগিত থাকবে এই মামলা? জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর এই মামলার ফের শুনানি হবে। কাজেই এখনই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা যাবে না অনুব্রত মণ্ডলকে।
গরু পাচার মামলায় ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই-এরপর তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডিও। এবার জেরার স্বার্থেই তদন্তকারীরা তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে চান। এর বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করেন, এই মামলায় অভিযুক্ত সায়গল হোসেন ও বিকাশ মিশ্রর আবেদনের শুনানি হচ্ছে অন্য এক বিচারপতির এজলাসে। তাই অনুব্রতর আবেদনও ওই বিচারপতিরই এজলাসে শুনানি হোক। যদিও সিব্বলের আবেদনের বিরোধিতা করেছিলেন ইডির আইনজীবী। তারপরেও সিব্বলের আর্জিই মেনে নেন বিচারপতি। সোমবার নতুন বিচারপতির এজলাসে অনুব্রতর আর্জির শুনানি হবে। ততদিন তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে না ইডি।
এর আগের শুনানিতেই অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, সুপ্রিম কোর্টে সাংবিধানিক বেঞ্চের শুনানিতে ব্যস্ত রয়েছেন অভিজ্ঞ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। তখন আদালতের তরফে ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, এতে তাদের কোনও আপত্তি আছে কিনা। ইডি তাদের উত্তরে জানায়, তাদের আপত্তি নেই। এরপরই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারও পিছিয়ে গেল শুনানি।
উল্লেখ্য, গরু পাচারকাণ্ডে যখনই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তখনই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যেতেন অনুব্রত। শেষপর্যন্ত ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকেই কেষ্টকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতির ঠিকানা এই মুহূর্তে আসানসোল সংশোধানাগার। ১৭ নভেম্বর আসানসোলে প্রথমে অনুব্রতকে জেরা করেন ইডি-র আধিকারিকরা, তারপরই গ্রেফতার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :