মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

বিহারে ‘মহাজোট’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশই, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব! বুধেই শপথগ্রহণ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২২, ১০:৫৮ পিএম | আপডেট: আগস্ট ১০, ২০২২, ০৪:৫৮ এএম

বিহারে ‘মহাজোট’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশই, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব! বুধেই শপথগ্রহণ
বিহারে ‘মহাজোট’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশই, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব! বুধেই শপথগ্রহণ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিহারে সরকারের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে গেল বিজেপি-জেডিইউ জোট। আজই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নীতীশ কুমার। জানা গিয়েছে, বিহারের মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ফের জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারই। বুধবারই দুপুর ২ টোয় রাজভবনে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। 

অন্যদিকে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। আরজেডি পক্ষ থেকে এই কথা টুইট করে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আরজেডি ও জেডিইউ এই দলের হাতেই থাকবে ১৪ জন মন্ত্রী। সেখানে কংগ্রেস পেতে পারে ৩ মন্ত্রী। ২০১৫-১৭ ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তিই হল জল্পনাকে সত্যি করে। এদিন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষদের পরম্পরা কেউ নিতে পারবে না। আমরা নীতীশ কুমারের পাশাপাশি লালুজীকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সবাই চেয়েছিলাম বিহারে বিজেপির এজেন্ডা বাস্তবায়িত না হোক। আমরা সবাই জানি লালুজী আদবানিজীর ‘রথ’ থামিয়েছেন। বিহারের সেই ঐতিহ্য আছে।”

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে দুরত্ব বেড়েছে নীতীশ কুমার তথা জনতা দলের। এমনকি এবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে হওয়া নীতি আয়োগের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন নীতীশ কুমার। ২০২০ সালে বিজেপি-জেডিইউ জোটবদ্ধ হয়ে, বিহারে সরকার গঠন করেছিল। এরপর দুবছর কাটতেই সেই সরকারের পতন হল। মঙ্গলবার বিকেলেই খাতায়কলমে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর বিহারে নয়া জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজভবনে তেজস্বী যাদবের সঙ্গে নীতীশ কুমারকে দেখা যায়। রাজ্যপালের কাছে জমা দেন ১৬৪ জন বিধায়কের তালিকা। পাশাপাশি সরকার গঠনের দাবিও জানান। এদিকে, বিহারের মহাগাঁটবন্ধনে ইতিমধ্যেই জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেসের পাশাপাশি বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে সিপিআইএমএল। পাশাপাশি সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা।

বিহার বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। বিধানসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য দরকার ১২২ টি আসন। বর্তমানে আরজেডি-র ৭৯, জেডিইউয়ের ৪৫, কংগ্রেসের ১৯ এবং ১৬ জন বাম বিধায়ক রয়েছেন। সূত্রের এও খবর, হামের চারজনও রয়েছেন নীতীশ কুমারের পাশে। এই সংখ্যক সমর্থন পেলেই সরকার গঠনে সমস্যা হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। 

এদিন রাজভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতীশ কুমার বলেন, ‘আমরা রাজ্যপালের কাছে ১৬৪ জন বিধায়কের একটা তালিকা জমা দিয়েছি। তারপরই তাঁর কাছে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছি।’ নীতীশ কুমার আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ৭ পার্টির সমর্থন রয়েছে। সমর্থন রয়েছে ১ জন নির্দল বিধায়কের। তাঁরা যে আমাদের সমর্থন করছেন সেই চিঠিও রয়েছে।’