বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সেতু ছিঁড়ে মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক মানুষের! গুজরাটের সেই মোরবিতেও গেরুয়া ঝড়

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ১২:২১ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম

সেতু ছিঁড়ে মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক মানুষের! গুজরাটের সেই মোরবিতেও গেরুয়া ঝড়
সেতু ছিঁড়ে মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক মানুষের! গুজরাটের সেই মোরবিতেও গেরুয়া ঝড়

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গুজরাটের মোরবি। সাম্প্রতিক সময়ে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার জেরে গুজরাটের এই স্থান মোরবি গোটা দেশের মানুষের কাছে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। ছট পুজোর সময় মোরবির মচ্ছু নদীতে কেবল সেতু ছিঁড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। মোরবির সেতু বিপর্যয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে প্রশাসন। সেই সঙ্গে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক।

উল্লেখ্য, ৫ বারের বিধায়ক কান্তিভাই আমরুতিয়া সেই সেতু বিপর্যয়ের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ মচ্ছু নদীতে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনার পরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে এই মোরবিতেও বিজেপির উপরেই ভরসা রেখেছে মানুষ।

ভোটের এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল তাতে দেখা যাচ্ছে পাতিদার অধ্যুষিত এই মোরবিতে কংগ্রেসের জয়ন্তি প্যাটেল ও আপের পঙ্কজ রানসারিয়াকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিগত ৫ বারের বিধায়ক কান্তিভাই। উল্লেখ্য, বিপর্যয়ের পর প্রশ্নের ও সমালোচনার মুখে পড়লেও, উদ্ধারকাজে তিনিই অবশ্য সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ছট পুজোর দিন সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবিতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি কেবল সেতু ছিঁড়ে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। ঝুলন্ত সেতুর তার যখন ছিঁড়ে যায়, তখন নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন সেতুর উপরে। মচ্ছু নদীতে ছট পুজো দেখতে জমায়েত করেছিলেন সবাই। সেতু ছিঁড়ে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই সেখানে থাকা অনেকেই নদীতে পড়ে যান। সেতু ছিঁড়ে পড়ে নারী-শিশু সহ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন।

অভিযোগ ওঠে, স্থানীয় প্রশাসন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সেতুর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে টেন্ডার দেয়। ওরেভা নামে একটি সংস্কাকে কেবল সেতুর সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের বরাত দিয়েছিল মোরবি প্রশাসন। এই ওরেভা সংস্থাটি মূলত ঘড়ি তৈরির জন্য়ই পরিচিত। সেই সংস্কারের পর প্রায় ৭ মাস বাদেই খুলেছিল কেবল সেতু। কিন্তু সেতু খুলতেই ঘটে বড় বিপর্যয়! 

অভিযোগ, মেরামতির পর নির্ধারিত সময়ের ৩ দিন আগেই মানুষ চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, শতাব্দী প্রাচীন সেতুটির সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার আগে সুরক্ষা শংসাপত্রও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এখানেই শেষ নয়, বিপর্যয়ের নেপথ্যে গাফিলতির প্রমাণও মেলে। পাশাপাশি, ভারবহন ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ উঠেছিলেন। ব্রিজে লাথি মারা হয়েছিল। ঝাঁকানোও হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। ওদিকে বিপর্যয়ের পর সমালোচনার মুখে পড়েও, উদ্ধারকাজে অবশ্য সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কান্তিভাই আমরুতিয়া। এতো বড় বিপর্যয়ের পড়ে প্রশ্নের মুখে পড়েও, এবার গুজরাটে মোরবিতে বিধানসভার ভোটে এগিয়ে সেই কান্তিভাই আমরুতিয়াই।