শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘দলের সভাপতি না হয়েও রাহুলই সব সিদ্ধান্ত নেন’! ফের গান্ধী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব সিব্বল

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২২, ০৪:৩২ পিএম | আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২২, ১০:৩২ পিএম

‘দলের সভাপতি না হয়েও রাহুলই সব সিদ্ধান্ত নেন’! ফের গান্ধী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব সিব্বল
‘দলের সভাপতি না হয়েও রাহুলই সব সিদ্ধান্ত নেন’! ফের গান্ধী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব সিব্বল

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সদ্য দেশের মধ্যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। এই ৫ রাজ্যেই হতাশাজনক ফল করেছে কংগ্রেস। পাঞ্জাবে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের শোচনীয় হারে এই রাজ্যও তাঁদের হাতছাড়া হয়েছে। তাই এবার কংগ্রেস যত দ্রুত সম্ভব ঘুরে দাঁড়াতে চায়। পাঞ্জাব-সহ পাঁচ রাজ্যে দলের পারফম্যান্সে হতবাক নেতৃত্ব-সহ দলের সকলেই। 

সম্প্রতি রবিবার দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। এই বৈঠকে দলের সদস্যরা জানিয়েছেন যে, সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বের উপর তাঁদের বিশ্বাস রয়েছে। তাঁর পাশ থেকে সরে না যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা। তবে, এদিকে, কংগ্রেসের বর্তমান অবস্থা এবং নেতৃত্ব নিয়ে মোটেও খুশি নন আবার প্রত্যেক কংগ্রেস কর্মী। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিব্বল সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, গান্ধীদের এই মুহূর্তে নেতৃত্বের অবস্থান থেকে সরে এসে অন্যদের সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। 

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে, ‘গান্ধীদের স্বেচ্ছায় সরে যাওয়া উচিত। কারণ তাঁদের মনোনীত একটি বডি তাঁদের কখনই বলবে না যে তাঁদের ক্ষমতার লাগাম ধরে রাখা উচিত নয়। পাশাপাশি তাঁকে দলের প্রধান হিসেবে রাহুল গান্ধীর প্রত্যাবর্তনের ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলা দাবি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন যে, রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই ‘ডি ফ্যাক্টো প্রেসিডেন্ট’, যিনি সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, ‘রাহুল গান্ধী পঞ্জাবে গিয়ে ঘোষণা করেন যে, চরণজিৎ সিং চন্নী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি কোন ক্ষমতায় এটা করেছেন? তিনি দলের সভাপতি নন, তবে সব সিদ্ধান্ত তিনিই নেন। তিনি ইতিমধ্যেই ডি ফ্যাক্টো প্রেসিডেন্ট। তাহলে কেন তাঁরা তাঁকে ক্ষমতার লাগাম ফিরিয়ে নিতে বলছে?’

অন্যদিকে, আরও বিশদে তিনি জানিয়েছেন যে, ‘ঘরের কংগ্রেস’-এর পরিবর্তে তিনি ‘সবার কংগ্রেস’ চান। তাঁর আরও সংযোজন “আমি আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ‘সবার কংগ্রেস’-এর জন্য লড়াই করব। এই ‘সবার কংগ্রেস’ মানে ভারতের সেই সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা, যাঁরা বিজেপিকে চান না।” এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, “কিছু লোক তাঁদের মতামত প্রকাশ করেছেন যে A, B বা C ছাড়া কংগ্রেস হতে পারে না। স্পষ্টতই, তাঁরা বিশ্বাস করেন যে ‘সবার কংগ্রেস’ ‘ঘরের কংগ্রড়ে’ ছাড়া টিকে থাকতে পারে না। এটাই চ্যালেঞ্জ।”

অন্যদিকে, কপিল সিব্বল এও বলেছেন যে, বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতার CWC-র থেকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সিডব্লিউসি-র বাইরে একটি কংগ্রেস আছে। যদি আপনি চান তাহলে দয়া করে তাঁদের মতামত শুনুন। আমাদের মতো অনেক নেতা যারা CWC-তে নেই। কিন্তু কংগ্রেসে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ ভিন্ন।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে সোনিয়া গান্ধীকে দোলে পরিবর্তনের জন্য চিঠি লিখেছিলেন মোট ২৩ জন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। কপিল সিব্বল সেই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।