মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

যোগীর জয় উদযাপনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি! শাস্তিস্বরূপ ‘খুন’ উত্তরপ্রদেশের যুবক

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২২, ০৮:৪৬ এএম | আপডেট: মার্চ ২৮, ২০২২, ০২:৪৬ পিএম

যোগীর জয় উদযাপনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি! শাস্তিস্বরূপ ‘খুন’ উত্তরপ্রদেশের যুবক
যোগীর জয় উদযাপনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি! শাস্তিস্বরূপ ‘খুন’ উত্তরপ্রদেশের যুবক / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মুসলিম যুবককে দিয়ে বলপূর্বক ‘জয় শ্রীরাম’ বলানোর অভিযোগ বারবার উঠেছে জনতা পার্টির বিরুদ্ধে। এমন দৃষ্টান্তও আছে যেখানে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি না আওড়ালে গণপিটুনির সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেককে। কিন্তু এবারে ঠিক বিপরীত ছবিটা দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে। দ্বিতীয়বারের জন্য যোগী আদিত্যনাথ-এর জয়কে উদযাপন করার জন্য ‘জয় শ্রীরাম’ উচ্চারণ করায় প্রাণ দিতে হল এক মুসলিম যুবককে।

এই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর এলাকা। মৃতের নাম বাবর। পরিবার সূত্রে খবর, গত ২০ মার্চ দোকান বন্ধ করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দিতে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন কুশিনগর এলাকার বাসিন্দা বাবর। ঠিক সেই সময় তাঁর ওপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। প্রাণ বাঁচাতে বাবর উঠে পড়ে একটি ছাদে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয় না। বাবরকে পাকড়াও করতে ওই দুষ্কৃতীরাও ছাদে উঠে পড়ে। এরপর ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলে গুরুতরভাবে আহত হয় বাবর। অভিযোগ, তারপরই শুরু হয় বাবর-এর ওপর মারধর।

তখনও প্রাণ ছিল বাবরের। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় রামখোলা সিএইচসি-এ। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রথমে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় জেলা হাসপাতাল। এরপর ফের তাঁকে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। লখনউয়ে স্থানান্তরিতকরণের পর চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় বাবরের।

মৃতের পরিবার আরও অভিযোগ করে বলেছে, বাবর ছিলেন বিজেপির চরম ভক্ত। এর আগেও বাবর যাতে পদ্ম শিবিরকে সমর্থন না করে তার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এমনকি বিজেপির প্রচার করত বারণ করেছিল তারা। কিন্তু সমস্ত হুমকিকে অগ্রাহ্য করে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন তিনি। এরপর পুলিশের কাছে বাবরের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে আবেদন করা হলে সেই ডাকেও সাড়া দেয়নি পুলিশ।

রবিবারই বাবরের দেহ নিয়ে আসা হয় এলাকায়। তার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট। অন্যদিকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। এমনকি তার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জন অভিযুক্তকেও। আপাতত তারা জেল হেফাজতে রয়েছে। কিন্তু বাবরের পরিবারের লোক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর দেহ সৎকার করতে নারাজ। এই নৃশংস হত্যার ঘটনার পর মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন স্থানীয় বিধায়ক পঞ্চানন্দ পাঠক।