বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সিনেমার কাহিনী বাস্তবে! নাগিনের হত্যাকারীকে শেষ করতে ৭ বার প্রতিশোধের ছোবল নাগিনীর

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২২, ১১:১৫ এএম | আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২২, ০৫:১৫ পিএম

সিনেমার কাহিনী বাস্তবে! নাগিনের হত্যাকারীকে শেষ করতে ৭ বার প্রতিশোধের ছোবল নাগিনীর
সিনেমার কাহিনী বাস্তবে! নাগিনের হত্যাকারীকে শেষ করতে ৭ বার প্রতিশোধের ছোবল নাগিনীর

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সাপকেন্দ্রিক বহু চলচ্চিত্র বা ধারাবাহিকে আমরা দেখেছি সঙ্গী সাপের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে এগিয়ে গিয়েছে অপর সাপটি। কিন্তু এরকম ঘটনা যে বাস্তবে ঘটতে পারে তা এই ঘটনার কথা না শুনলে বোধ হয় বিশ্বাস করা যাবে না। নাগের হত্যাকারীকে শেষ করতে ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নাগিনের। একবার নয়, দু’বার নয়, সাত-সাতবার সে ছোবল মারে তার সঙ্গীর হত্যাকারীকে। এরপর যা ঘটে তা আরও অবাক করবে সকলকে।

ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের রামপুর। রামপুর জেলার সোয়ার তহসিল এলাকার মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা এহসান তথা বাবলু পেশায় একজন কৃষক। একটি কৃষি খামারে কাজ করে জীবনধারণ করেন। তিনি জানান, মাস সাতেক আগে মাঠের মাঝে এক নাগ ও নাগিনীকে দেখতে পান। এরপর নাগটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। সাপটির দেহ পুঁতে দেন মাটির তলায়। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে নাগিনটি।

এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় নাগিনীর প্রতিশোধের পালা। সঙ্গীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে একাধিকবার এহসানের ওপর হামলা চালায় সাপটি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সাতবার কামড়ানোর পরেও সময় মত চিকিৎসার জোরে প্রাণে বেঁচে যান অভিযুক্ত কৃষক। এরপরেও সাপটি ফের তাকে আক্রমণ করেছিল বলে জানিয়েছেন এহসান। তবে অল্পের জন্য পালিয়ে যান তিনি। মৃত্যুকে জয় করে বারবার এহসানের ফিরে আসার কাহিনী সত্যিই সকলকে অবাক করে।

সাপের এই ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের গল্প শুনে হতবাক এলাকাবাসীরা। গোটা এলাকা জুড়ে এখন আলোচনার একটাই কেন্দ্রবিন্দু। এই প্রসঙ্গে এহসানের বক্তব্য, তিনি অত্যন্ত দরিদ্র। শ্রমিকের কাজ করে যেটুকু রোজকার হয় তাই দিয়েই সংসার চালাতে হয়। সাত মাস আগে দেখা দুটি সাপের মধ্যে একটি সাপকে মেরে তিনি মাটিতে পুঁতে দেন। এরপর থেকেই বহুবার তাকে ছোবল মেরেছে আর একটি সাপ। তাঁর বাড়িতে চারটি ছোট সন্তান রয়েছে। তাঁর কিছু হয়ে গেলে তার সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ডুবে যাবে। সেই ভেবে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এহসান।

অন্যদিকে খামারের মালিক সত্যেন্দ্র জানান, আজ থেকে সাত মাস আগে সাপে ছোবল মারে এহসানকে। এরপর থেকে তাকে যতবারই সাপে কামড়ায় ততবারই হাসপাতালে যেতে হয়। উপযুক্ত চিকিৎসার দ্বারা প্রতিবারই সুস্থ হয়ে ফেরেন তিনি। সত্যেন্দ্র জানান সাপটি মূলত কোবরা জাতীয়। তাই বিষাক্ত সাপের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে এখন বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকেন এহসান।