শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের আদলে খুন যোগীরাজ্যে! স্ত্রীকে মেরে টুকরো টুকরো করল স্বামী

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ১২:১৪ পিএম | আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৬:১৪ পিএম

দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের আদলে খুন যোগীরাজ্যে! স্ত্রীকে মেরে টুকরো টুকরো করল স্বামী
দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের আদলে খুন যোগীরাজ্যে! স্ত্রীকে মেরে টুকরো টুকরো করল স্বামী / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া যোগীরাজ্যে। দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের আদলেই ফের এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটল উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে। প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে খুন করে ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলার খবর গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এবারও ঠিক তেমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, সীতাপুরে বাসিন্দা এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে খুন করে কেটে টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় নিজের মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত স্বামী তথা সীতাপুরের বাসিন্দা পঙ্কজ মৌর্য।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পঙ্কজ মৌর্যকে এই কাজে সাহায্য করেছে আরও এক ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। এদিকে, এই ঘটনার নৃশংসতায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে গত ৮ নভেবর। খুন হন সীতাপুরের বাসিন্দা বিবাহিতা জ্যোতি আলিয়াস স্নেহা। জ্যোতিকে খুনে মূল অভিযুক্ত তাঁর স্বামী পঙ্কজ মৌর্য। ১০ বছর আগে এঁদের বিয়ে হয়। তবে, ইদানিং তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি হয়।

পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, স্ত্রী জ্যোতি স্নেহা নিয়মিত মাদক নিতেন। এমনকি সে মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকেও চলে যেতেন। দিনের পর দিন অন্য একজনের বাড়িতে থাকছিলেন। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে অশান্তি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপরই ৮ নভেম্বর স্ত্রীকে খুন করে পঙ্কজ মৌর্য। আর এই কাজে তাঁকে সাহায্য করে দুর্জন পাসি নামের এক ব্যক্তি। খুনের পরই দেহ টুকরো টুকরো করে পঙ্কজ এবং দুর্জন দুজনে মিলে এবং দেহ স্থানীয় জঙ্গলে ফেলে দেয়।

এদিকে, গুলহারিয়ার জঙ্গল থেকে পঙ্কজের স্ত্রী জ্যোতির দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় পঙ্কজ খুনের কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, স্ত্রীকে খুন করে তাঁর পরিচয় গোপন করতেই সে দেহে টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয়। কিন্তু তাও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সে।