বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বারাণসী বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ওয়ালিউল্লাহকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা আদালতের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২, ০৭:৫৮ পিএম | আপডেট: জুন ৭, ২০২২, ০২:০৮ এএম

বারাণসী বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ওয়ালিউল্লাহকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা আদালতের
বারাণসী বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ওয়ালিউল্লাহকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা আদালতের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে ঘোষণা হল সাজা। বারাণসী বিস্ফোরণ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ওয়ালিউল্লাহ খানকে। আজ অর্থাৎ সোমবার গাজিয়াবাদ জেলার আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে। 

১৬ বছর আগে, ২০০৬ সালের ৭ মার্চ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল বারাণসীতে। বছর ১৬ আগে ৭ মার্চ ছাওনী রেল স্টেশনের কাছে পরপর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল মূল অভিযুক্ত ওয়ালিউল্লাহ। বারাণসীর সংকট মোচন মন্দির, ছাওনী রেল স্টেশন ও দশাশ্বমেধ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় পরপর তিনটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২০ জন নিরীহ মানুষের। পাশাপাশি আহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০ জন। উল্লেখ্য, এই মামলায় কিছুদিন আগেই আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ওয়ালিউল্লাহ। আর এদিন ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। 

২০১৬ সালের ওই ঘটনার পরের দিনই প্রয়াগরাজ জেলার ফুলপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওয়ালিউল্লাহকে। ওয়ালিউল্লাহ ছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্ত ছিল আরও ৫ জন। ১৬ বছর শুনানি চলার পর এদিন রায় ঘোষণা হল। অবশেষে সাজা ঘোষণা করল গাজিয়াবাদ জেলা আদালত।

প্রসঙ্গত, প্রথমে  বারাণসী বিস্ফোরণ মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারাধীন ছিল। কিন্তু এই বিস্ফোরণ মামলায় মূল অভিযুক্ত ওয়ালিউল্লাহের হয়ে লড়তে রাজি ছিলেন না কোনও আইনজীবী। ফলে প্রথমদিকে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই পরে তা গাজিয়াবাদ জেলা আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়। গাজিয়াবাদ সেশন কোর্টের বিচারক জিতেন্দ্র কুমার সিনহা আজ ২টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন ওয়ালিউল্লাহ খানকে। খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, বিস্ফোরণ-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয় ওয়ালিউল্লাহ বিরুদ্ধে। মৃত্যুদণ্ডের সাজার পাশাপাশি ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী রাজেশ শর্মা জানিয়েছেন, ‘দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওয়ালিউল্লাহ।’ আজ সাজা ঘোষণার পরে পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। তাই সবরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এমনকি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদেরও বিচারকের কক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।