বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রজাতন্ত্র দিবসের আর বাকি মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। এদিকে, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে জারি করা হয়েছে সুপার হাই অ্যালার্ট। কিন্তু কেন? মূলত প্রজাতন্ত্র দিবসে নাশকতার আশঙ্কা থেকেই গোটা রাজধানী জুড়ে এই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, দিল্লি বা তার আশপাশে কয়েকজন জঙ্গি ছড়িয়ে রয়েছে, যারা নাশকতার পরিকল্পনা করছে।
সেই জন্যই যেকোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই তৎপর পুলিশ প্রশাসন। এবার শুধুমাত্র স্টেশন, বিমানবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে কড়া নজরদারি নয়, বিস্ফোরক সম্পর্কেও জনগণকে সচেতন করা শুরু হয়েছে পুলিশের তরফে। আসলে প্রজাতন্ত্র দিবসে জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছে না। কারণ কয়েক দিন আগেই দিল্লির বুকে দুজন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে হারকত-উল- আনসার এবং হিজবুল মুজাহিদিনে জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগ ছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই।
গোয়েন্দাদের অনুমান, ধৃত এই দুই সন্দেহভাজন সঙ্গে আরো ৪ জন দিল্লিতে প্রবেশ করেছে। তারা রাজধানী বা সংলগ্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং প্রজাতন্ত্র দিবসেই নাশকতার ছক কষছে। সেই কারণেই কোনোরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন। তাই গোটা রাজধানীতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সব স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড এবং বিমানবন্দর-সহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেমন কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে, তেমনই মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে দিল্লি পুলিসহ যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা আগে দেখা যায়নি। মঙ্গলবার দেখা গেল, দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে বস্তাভর্তি ব্যাগ দিয়ে অবজারবেশন পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। বস্তার পিছনে AK47 নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বলের সদস্য। কী ধরনের জিনিস বোমা হতে পারে, তার পোস্টার দিয়ে পথচলতি মানুষজনকে সতর্ক করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি পেট্রোলিং চলছে।
দিল্লি পুলিশ যখন জনগণকে সতর্ক করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই সময় অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ডিআরডিও-র ইডিএস বা অ্যান্টিড্রন সিস্টেম ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। যা রাজধানীর আকাশে যে কোনও ড্রোনকে হার্টকিল করতে প্রস্তুত। নাশকতা ঠেকাতে দিল্লি পুলিশের অনুরোধেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :