বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ! উদ্বেগ বাড়িয়ে বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যাও

১১:২১ এএম, নভেম্বর ২৬, ২০২১

দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ! উদ্বেগ বাড়িয়ে বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যাও

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, দেশ এখনও করোনার কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তার মধ্যেই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা জারি রয়েছে। আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের উপর। এদিকে, দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। তবে, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ফিরছে দেশ। স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে দেশ। সপ্তাহের প্রথম দু’দিন অনেকটাই কমেছিল দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ১০ হাজারের নীচে নেমেছিল সংক্রমণ। কিন্তু তা ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের আবারও দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ আবারও ১০ হাজারের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও ৪০০ পেরিয়েছে। যা বেশ উদ্বেগজনক।

শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৫৪৯ জন। ৯ হাজার ১১৯ জন। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে বেশি। গতকাল দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ১১৯ জন। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরলের কোভিড গ্রাফ। তবে কেরলের সংক্রমণ নিয়ে এখনও জারি রয়েছে উদ্বেগ।

অন্যদিকে, বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮৮ জন। গতকালের থেকে বেশি। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৯৬ জন। এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪৬৮ জন।

https://twitter.com/ANI/status/1464084698389352452

সংক্রমণ কমার পাশাপাশি প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছিল অ্যাকটিভ কেস। সক্রিয় রোগীর নিম্নমুখী গ্রাফই আশার আলো দেখাচ্ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে অ্যাকটিভ কেস। এই মুহূর্তে দেশের অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার ১৩৩ জন। অর্থাৎ এখন সক্রিয় রোগীর হার ০.৩২ শতাংশ। গত বছর মার্চ মাসের এই প্রথম এতটা কম অ্যাকটিভ কেস। ধীরে ধীরে বাড়ছে সুস্থতার হারও। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৯ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮৩০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৬৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ।

করোনা মোকাবিলায় প্রধান অস্ত্র টিকাকরণ। উৎসবের মরশুমে গতি হারিয়েছিল টিকাকরণ। যা ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজ। ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে দেশের সমস্ত মানুষ অন্তত প্রথম ডোজ পান, সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকেও সেই মর্মে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ। তবে, সংক্রমণের আশঙ্কায় জমায়েতে এখনও জারি নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। এদিকে সম্প্রতি আইসিএমআর (ICMR) জানিয়ে দিয়েছে, নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে প্রয়োজনীয় কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও পাওয়া যায়নি। আইসিএমআরের মতে, জোড়া ডোজ হলেই তা করোনা প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট। সমস্ত নাগরিক যাতে দ্রুত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজও পান, তা দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১২০ কোটির বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৮৩ লক্ষের বেশি। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল যেমন ১১ লক্ষের ৮১ হাজার ২৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।