শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

তাইওয়ানের পথে একাধিক চিনা ট্যাঙ্ক! তবে কি চিনের দেওয়া হুঁশিয়ারি সত্যি হতে চলেছে?

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২২, ১২:২৫ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২২, ০৬:২৫ পিএম

তাইওয়ানের পথে একাধিক চিনা ট্যাঙ্ক! তবে কি চিনের দেওয়া হুঁশিয়ারি সত্যি হতে চলেছে?
তাইওয়ানের পথে একাধিক চিনা ট্যাঙ্ক! তবে কি চিনের দেওয়া হুঁশিয়ারি সত্যি হতে চলেছে?

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছে চিন। এমনকি চিনের তরফ থেকে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যে এর ফল মারাত্মক হতে পারে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ভিডিও। যা বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন তুলেছে, তবে কি আমেরিকাকে দেওয়া চিনের হুঁশিয়ারি সত্যি হতে চলেছে? কিন্তু কী দেখা গিয়েছে ভিডিওগুলিতে?

ভিডিওগুলি থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের কাছে চিনের তরফ থেকে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে। সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে একের পর এক চিনা ট্যাঙ্ক। রয়েছে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র বহনকারী সাঁজোয়া গাড়িও। চিনা সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘Yin Sura’-র শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ফুজিয়ানের ব্যস্ত রাস্তায় সারি সারি চিনা ট্যাঙ্ক। প্রতিটি ট্যাঙ্ক এগোচ্ছে তাইওয়ানের দিকে। এমনকি বেশ কিছু বড় বড় ট্রাকে তুলেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্যাঙ্ক। এই ভিডিওগুলি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, সত্যিই কি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে চলেছে চিন?

তাইওয়ানকে নিজেদের এলাকা বলে বরাবরই দাবি করে এসেছে চিন। তাই তাইওয়ানের সঙ্গে যে দেশগুলি সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে বেজিং। ঠিক সেই কারণেই আমেরিকার সংসদের স্পিকার তাইওয়ান সফরে এলে তা সহজে মেনে নেয়নি চিন সরকার। এই প্রসঙ্গে অবশ্য পাল্ট দাবি করেছেন ন্যান্সিও। বলেছেন, তিনি কোথায় যাবেন না যাবেন সেই সিদ্ধান্ত একমাত্র তিনিই নেবেন। যদিও এই যুক্তি একেবারেই মেনে নেয়নি চিন। এমনকি ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ব্যক্তিগত সফর হিসেবে মানতেও নারাজ জিনপিং সরকার।

ইতিমধ্যেই চিনা বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে এভাবে সফর চলতে থাকলে তারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যদিকে ন্যান্সি পেলোসির দাবি, কোনও পরিস্থিতিতেই তাইওয়ানের পাশ থেকে আমেরিকা সরে যাবে না। অকারণে এই সফরকে কেন্দ্র করে হিংসা না বাড়িয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই বিষয়ে কর্ণপাত করেনি চিন। তাদের দাবি, প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাইওয়ান দখল করবে তারা। বলা বাহুল্য, বিগত কয়েক দশক ধরেই তাইওয়ানবাসী চিনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।  এবার সেই আশঙ্কা আরও বেড়ে গেল বললেই চলে।