এবার আর কারও বাড়ি নয়। কৃষকদের সঙ্গে গ্রামের মাঠে বসে খিচুড়ি খাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এবারের সফরে তাঁর নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে জনসংযোগের জন্য এতকাল বিজেপি-র শীর্ষনেতারা সভার মাঝে কোনও গরিব গ্রামবাসীর বাড়িতে মধ্যাহ্ণভোজ সারছিলেন। তা নিয়ে নানা বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি করছিল তৃণমূল। যদিও বিজেপি-র দাবি মাঠে বসে কৃষকদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ নতুন ধরনের কর্মসূচি। এর সঙ্গ কোনও দলের রাজনৈতিক সমালোচনার কোনও সম্পর্ক নেই।
বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখল করাই বিজেপির লক্ষ্য। তার আগে ফের রাজ্য সফরে নাড্ডাবাবু। শুক্রবার রাতে কলকাতায় পৌঁছোন তিনি। শনিবার দিনভর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি নেতার। কিছুকাল আগে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন তৈরি হয়। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের সফরে তাঁর নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ৮.৪০ এর কিছু পরে দমদম বিমানবন্দরে পৌছন তিনি। রাতে হোটেল ওয়েস্টিনে ছিলেন। শনিবার সকাল ৯টা ১০ নাগাদ ফের কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন নাড্ডা। রওনা দেবেন মালদহের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছনোর পর ১১টা নাগাদ মালদহের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট ফর সাব ট্রপিক্যাল হর্টিকালচারে যাওয়ার কথা তাঁর। মিনিট ২০ সেখানে থাকবেন নাড্ডা। সাড়ে এগারোটা নাগাদ যাবেন সাহাপুর গ্রামে। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তার পর কৃষক সুরক্ষা সহভোজে অংশ নেবেন।
সাড়ে বারোটা নাগাদ ফোয়ারা মোড় থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি পর্যন্ত ৭৫০ মিটারের মতো রাস্তায় রোড শো করবেন। রোড শো শেষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করবেন নাড্ডা। বেলা ১টা ৫০ নাগাদ মালদহ বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। নবদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে চটির মাঠে রথযাত্রার সূচনা করবেন নাড্ডা। সেই সমস্ত কর্মসূচি সেরে ৪টে ৪৫ নাগাদ কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন। সন্ধে ৬টা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন নাড্ডা। ৭.৩৫ নাগাদ ফের দিল্লি পাড়ি দেওয়ার কথা।