বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কাশ্মীরে খতম জইশের মাসুদ আজহারের আত্মীয় মহম্মদ ইসমাইল! পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও জড়িয়ে তার নাম

০৯:৫৬ পিএম, জুলাই ৩১, ২০২১

কাশ্মীরে খতম জইশের মাসুদ আজহারের আত্মীয় মহম্মদ ইসমাইল! পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও জড়িয়ে তার নাম

কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার হাতে খতম পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী মহম্মদ সাইফুল্লা ওরফে লম্বু। শনিবার ভারতীয় সেনার ভিক্টর বাহিনীর হাতে নিহত জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল অলভি ওরফে লম্বু ও আদনান জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয়। মহম্মদ ইসমাইল অলভি ওরফে ইব্রাহিম, লম্বা, লালা, লম্বু, আদনান, জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মুফতি আবদুল রউফ অসঘরের ব্যক্তিগত রক্ষী হিসেবে কাজ করত। বর্তমান পাকিস্তানের বহাবলপুরে থাকা মাসুদ আজহারের আত্মীয় এই নিহত জঙ্গি।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর অনুযায়ী, ২০১৭ সালের মে মাসে শাকারগড় সেক্টর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে ইসমাইল। তার পর থেকেই একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িয়ে তার নাম। ভারতে ঢোকার আগেই বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ইসমাইল। গাড়ি-বোমা বিস্ফোরক তৈরিতেও সিদ্ধহস্ত। আফগানিস্তানে তালিবানদের গাড়ি-বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি পুলওয়ামা হামলাতেও নিজের তৈরি বোমা ব্যবহার করেছিল সে।

ইসমাইলকে আটক করতে শনিবার ভোরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলওয়ামার দাচিগামের জঙ্গল ঘিরে ফেলেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশির সময় গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। পালটা গুলিতে জবাব দেয় সেনাবাহিনী। তখনই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ইসমাইল অলভি ও আর এক জঙ্গির। তবে সেই মৃত জঙ্গির পরিচয় জানা যায়নি।

https://twitter.com/ANI/status/1421422384981037060?s=20

এই প্রসঙ্গে কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, "সইফুল্লা ওরফে লম্বু একাধিক ঘটনায় জড়িত। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অনুপ্রবেশের পর থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল সে। তার বিরুদ্ধে ১৪টি এফআইআর ছিল। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় বাহিনীর কনভয়ের উপরেও হামলা চালায় পাক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। প্রাণ হারান ৪০ জওয়ান। ওই হামলার মূল অভিযুক্ত ছিল এই লম্বু। এনআইএ চার্জশিটেও তার নাম ছিল।" পাশাপাশি তিনি আরও জানান, "পুলওয়ামা হামলায় ১৯ অভিযুক্তের মধ্যে খতম হয়েছে ৭ জঙ্গি। এছাড়াও ধরা পড়েছে ৭ জঙ্গি। তবে ৫ জঙ্গি এখনও পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।"