মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সব প্রতিষ্ঠানেরই উচিত ভাষা সংযত রাখা! মাদ্রাস হাইকোর্টের রায় নিয়ে বিস্ফোরক নাড্ডা

১০:২৫ পিএম, এপ্রিল ২৬, ২০২১

সব প্রতিষ্ঠানেরই উচিত ভাষা সংযত রাখা! মাদ্রাস হাইকোর্টের রায় নিয়ে বিস্ফোরক নাড্ডা

করোনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করল মাদ্রাস হাইকোর্ট। আর এই প্রসঙ্গে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, সব প্রতিষ্ঠানেরই উচিত ভাষা সংযত রেখে কথা বলা।

এদিন রাজ্যে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধিতে কমিশন কে দায়ী করে মাদ্রাস হাইকোর্ট। পাশাপাশি এই আবহে রাজনৈতিক সমাবেশে অনুমোদন দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে বলেন, “আপনাদের প্রতিষ্ঠানই এককভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউর জন্য দায়ী।” আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ‘সম্ভবত খুনের মামলা’ হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। নির্বাচন কমিশনকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যখন নির্বাচনী সমাবেশ হচ্ছিল, তখন কি আপনারা অন্য গ্রহে ছিলেন?”

এরপরেই মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে ২ মে-এর পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে। তার সঙ্গে সাফ জানিয়েছে, যদি করোনাবিধি মেনে চলার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকে তাহলে সে দিন গণনা বন্ধ করবে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেন, "মানুষ বেঁচে থাকলে তবেই গণতান্ত্রিক অধিকার উপভোগ করতে পারবে"।

এরপরে এদিন সল্টলেকের এক নামজাদা হোটেলে করোনা নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় দিয়েছে সেই রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, "গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবাই মতামত রাখতে পারে তবে সব প্রতিষ্ঠানের উচিত ভাষা সংযত রেখে কথা বলা। বিজেপি ইলেকশন কমিশনের নির্দেশ মতো আইন মেনে করোনা বিধি পালন করে প্রচার চালিয়েছে"।

https://www.youtube.com/watch?v=a33y-lk7n80

পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে তা অভূতপূর্ব এবং অনন্য বলেও এদিন দাবি করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, "বিজেপি এই নির্বাচনে অতি উচ্চ মানের প্রচার করেছে এবং বিজেপির এই উন্নয়নের কথায় মানুষ বিশ্বাস করে বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে"।

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতি নিম্নমানের প্রচার এবং বিজেপির নেতা নেত্রীদের অত্যন্ত কু ভাষায় আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ইলেকশন কমিশন সহ কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ কে চাপে রাখতে আক্রমণ চালিয়েছে বলে জেপি নাড্ডা দাবি করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মত তাঁর।