আজ মাঝেরহাট ব্রিজ খুলে দেওয়ার দাবিতে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হল শহর কলকাতা । কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে বামপন্থী সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের দিনই মাঝেরহাট সেতু চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় বঙ্গ বিজেপি। পুলিশ বিক্ষোভকারীরা বাধা দেওয়া নিয়ে শুরু হয় বচসা।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। মাঝেরহাট ব্রিজটি বেহালা, মহেশতলা এবং বজবজের মত শহরতলির এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে মূল শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে। ব্রিজটি ভাঙার দুই বছর পরেও কেন তা চালু হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
এদিন মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তারাতলা মোড় থেকে মাঝেরহাট ব্রিজের পথে এই মিছিলটি কিছুটা এগোতেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশের গার্ডরেল ভেঙে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় সংশ্লিষ্ট এলাকায়। ঘটনায় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও বেশ কয়েকজন মিছিলের সমর্থনকারীকে আটক করা হয়েছে।
এই বিষয়ে বিজেপি অভিযোগের পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিক্ষোভের জেরে বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষকের কৈলাস বিজয়বর্গীয় কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মতে, রেল অনুমতি দেয়নি তাই সেতু চালু হয়নি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “রেলের জমির জন্য এবং বিজেপির রাজনীতি করার জন্য মাজেরহাট ব্রিজ চালু পিছিয়ে গেল। এই ব্রিজ এক বছর আগে চালু হয়ে যেত ওদের জন্যে হল না। ওদের জন্য মানুষকে হয়রানি হতে হচ্ছে”। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ভোটের সময় বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে। ন’মাস অনুমতি দেয়নি রেল। অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল।”
Today, the BJP staged a massive protest in the heart of Kolkata demanding that Mamata Banerjee throw open the Majherhat bridge, which had collapsed in 2018 and had since not been opened. Lakhs of people were inconvenienced daily.
Pishi has destroyed urban infra.#MajherhatChalo pic.twitter.com/o3jgxQGXDU
— Amit Malviya (@amitmalviya) November 26, 2020