শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

‘লক্ষ লক্ষ কিশোরীর স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প’! কন্যাশ্রী দিবসে টুইটে কী বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

০১:০৮ পিএম, আগস্ট ১৪, ২০২১

‘লক্ষ লক্ষ কিশোরীর স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প’! কন্যাশ্রী দিবসে টুইটে কী বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প বাংলার লক্ষ লক্ষ কিশোরীর স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে। এই প্রকল্পের জন্য গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী দিবসে টুইট বার্তায় এই প্রকল্পের সাফল্যের কথাই তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালে, টুইটে তিনি এ প্রসঙ্গে লেখেন, ‘কন্যাশ্রী দিবসে বাংলার সব মেয়েদের সাফল্য আমি উদযাপন করছি। আমি তাঁদের কৃতিত্ব, উৎসাহ আর নিষ্ঠার জন্য গর্বিত। কন্যাশ্রী প্রকল্প লক্ষ লক্ষ কিশোরীর স্বপ্নপূরণে সাহায্য করেছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যেই আমাদের সর্বদা কাজ করে যাওয়া উচিত।’

https://twitter.com/MamataOfficial/status/1426346294595899398

অনেক সময়ই দেখা গেছে যে, মেধা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র টাকার অভাবে বহু কিশোরীকে মাঝপথেই পড়াশোনা ছাড়তে হত, যে বয়সে পড়াশোনা, আগামিদিনে কিছু করে দেখানো আর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখার কথা, সেই বয়সে তাঁদের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হত। এখনও যে এমনটা হচ্ছে না তা নয়, তবে মুখ্যমন্ত্রী এই অবস্থার পরিবর্তনে উদ্যোগী হন। পড়াশোনার অধিকার যাতে সেই সমস্ত কিশোরীদের থেকে কেড়ে নেওয়া না হয়, তার জন্যই তিনি শুরু করেন কন্যাশ্রী প্রকল্প।

স্কুলছুট এবং নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করে ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে এই প্রকল্পের পথচলা শুরু হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ছাত্রীরা বার্ষিক ১০০০ টাকা বৃত্তি এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি পায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া টাকা উচ্চশিক্ষার কাজে লাগাতে পারে ছাত্রীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে ইউনাইটেড নেশনস থেকে সর্বোচ্চ জনসেবা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে কন্যাশ্রী। ৬২টি দেশের ৫৫২টি জনসেবামূলক প্রকল্পের মধ্যে সেরা পুরস্কার পায় কন্যাশ্রী। উল্লেখ্য, তারও আগে ২০১৫ সালে স্কচ স্মার্ট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পায় কন্যাশ্রী প্রকল্প। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নের প্রকল্পের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ছাত্রী যে উপকৃত হয়েছে সে বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত মুর্শিদাবাদের ছাত্রী রুমানা সুলতানাকে কন্যাশ্রীর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করা হয়েছে। আবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকায় করোনাকালে মাস্ক বিলি করায়, কন্যাশ্রী পুরস্কার পাচ্ছে বাঁকুড়ার এক ছাত্রী।