শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

তালিবানদের বার্ষিক আয় কত? কোন পথে আসে টাকা? প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

১১:৫৫ এএম, আগস্ট ১৭, ২০২১

তালিবানদের বার্ষিক আয় কত? কোন পথে আসে টাকা? প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

আফগানিস্তানে কায়েম হয়েছে তালিবানি শাসন৷ দীর্ঘ ২০ বছর পর সে দেশ দখল করল তালিবানরা। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে একটা গোটা দেশ চালানোর মতো পর্যাপ্ত তালিবানদের কাছে কি রয়েছে? যদি তা থাকেও তাহলে কোন পথে আসে সেই টাকা? এই জঙ্গী সংগঠনের বার্ষিক আয় কত, তা অনুসন্ধান করতে গিয়েই উঠে এল চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

২০১৬ সালে তালিবানদের অর্থনীতি নিয়ে করা একটি সমীক্ষাতেই দেখা যায়, বিশ্বে ১০টি বিপুল পরিমাণ অর্থের অধিকারী জঙ্গী সংগঠনগুলির মধ্যে তালিবান পঞ্চমে। তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে আইএসআইএস। ওই জঙ্গী সংগঠনের বার্ষিক আয় ২ বিলিয়ন ডলার। আর তালিবানদের বার্ষিক আয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু কীভাবে আসে সেই অর্থ? এতদিন মাদক পাচার বা তোলা আদায় করে তালিবানরা নিজেদের অর্থভাণ্ডার ভরাতো, এমনটা জানলেও এই সমীক্ষা কিন্তু অন্য কথাই জানিয়েছে।

এই সমীক্ষা অনুযায়ী, তালিবানদের অর্থনীতিতে এসেছে বিপুল পরিবর্তন। বর্তমানে তাদের আয়ের উৎস হল অন্ততপক্ষে ৬টি পথ। সেগুলি হলো, খননকাজ, মাদক পাচার, বিদেশি ত্রাণ, রপ্তানি, ট্যাক্স, রিয়েল এস্টেট। তবে এসবের মধ্যে খনন কার্য এবং মাদক পাচার থেকেই সবচেয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে তালিবানদের হাতে। আর এই কারণেই তালিবানদের কোষাগার উপচে পড়ছে অর্থে।

অর্থের বিপুল যোগানের পাশাপাশি স্বাভাবিকভাবে তালিবানদের জীবনযাত্রাতেও এসেছে পরিবর্তন। তাদের জীবনযাপন হয়ে উঠেছে আরও সহজ ও বিলাসবহুল। অত্যাধুনিক পশ্চিমী অস্ত্র, আধুনিক ঝাঁ-চকচকে গাড়ির পাশাপাশি পোশাক-আশাক বা খাওয়া-দাওয়াতেও তারা হয়ে উঠেছে বেশ আধুনিক। কোনও কিছুরই কমতি নেই। আর সেই কারণে একটা গোটা দেশ চালানোর মতো মজুত অর্থও তাদের কাছে ভালোমতোই রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিল মুজাহিদিন সংগঠন। মুজাহিদিনের যে সমস্ত সদস্য এই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদেরই বলা হত তালিব। সেখান থেকেই এই তালিবানের উৎপত্তি। বর্তমানে ধীরে ধীরে আরও শক্তি বাড়িয়ে তারা অন্যতম নিষ্ঠুর ও কট্টরবাদী এক জঙ্গী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।