দেশের ৭৪তম সেনা দিবস আজ। প্রতি বছর ১৫ জানুয়ারি সারা দেশজুড়ে পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। এই দিনটিতে দেশের জন্য আত্মবিসর্জন দিয়েছেন যে বীর সেনারা, তাঁদের সম্মান জানানো হয়। পদাতিক, নৌ এবং বায়ুসেনার সদর দপ্তরগুলিতে মহাসমারোহে পালিত হয় এই বিশেষ দিনটি। ১৮৯৫ সালের ১ এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে তৈরি হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে তখন নাম ছিল ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মি। স্বাধীনতার পর তা ইন্ডিয়ান আর্মি নামে পরিচিত হয়। ১৯৪৯ সালের আজকের দিনেই শেষ ব্রিটিশ কম্যান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল ফ্রান্সিস বুচার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে এম কারিয়াপ্পার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। সেই থেকেই ১৫ জানুয়ারি দিনটি সেনা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
[caption id="attachment_46780" align="alignnone" width="1101"] দেশের ৭৪তম সেনা দিবস আজ! এই বিশেষ দিনের তাৎপর্য কী? একনজরে দেখে নেওয়া যাক[/caption]স্বাধীনতা পূর্ববর্তী দেশভাগের সময় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্রিটিশ অধ্যক্ষের অধীনে এক বিশেষ কম্যান্ডো গঠন করা হয়েছিল। এরপরই ১৯৪৯ সালে ১৫ জানুয়ারি কে এম কারিয়াপ্পা স্বাধীন ভারতের প্রথম সেনাধ্যক্ষ হন। দেশের প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদান অপরিসীম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫ হাজার মিটার ওপরে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহতে যুদ্ধ করার নজির রয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধেও এই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। সেবার প্রায় ৯৩ হাজার পাক সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল ভারতের কাছে।
[caption id="attachment_46779" align="alignnone" width="1101"] দেশের ৭৪তম সেনা দিবস আজ! এই বিশেষ দিনের তাৎপর্য কী? একনজরে দেখে নেওয়া যাক[/caption]প্রতি বছর দিল্লির ক্যান্টনমেন্টের প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনা দিবস উদযাপনে দ্য আর্মি রেড প্যারেড আয়োজিত হয়। এই গ্রাউন্ডের নাম কে এম কারিয়াপ্পা ময়দান। ১৯৪৭ সালে ইন্দো-পাক যুদ্ধের সময় দক্ষিণ সীমান্তে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন কারিয়াপ্পা। তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে এই দিনে সাহসিকতার জন্য বিভিন্ন সেনা বাহিনীকে পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে ১৯৭১-এর যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৭৩তম সেনা দিবসের সকালে ‘বিজয় রান’ অর্থাৎ ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছিল।