বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ভবানীপুর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়! পুলিশের জালে আটক ৩

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২২, ০৮:২৯ এএম | আপডেট: জুন ৯, ২০২২, ০২:২৯ পিএম

ভবানীপুর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়! পুলিশের জালে আটক ৩
ভবানীপুর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়! পুলিশের জালে আটক ৩

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভবানীপুর জোড়া খুন কাণ্ডে ক্রমশই বাড়ছে রহস্য। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করল পুলিশ। ৩ জনকেই লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি রোডের একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানিয়দের বক্তব্য অনুযায়ী, এই দম্পতির সঙ্গে কারও কোনও বিবাদ ছিল না। খুবই ভদ্র ছিলেন তাঁরা, ব্যবহারও ভাল ছিল তাঁদের। তাহলে কেন এই খুন? এখনও মেলেনি কোনও উত্তর।

বুধবার কলকাতায় ফেরার পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন পুলিশ কমিশনারও। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত প্রায় ৯৯ শতাংশই শেষ। এছাড়াও পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, ঘটনার সঙ্গে পরিচিতদের যোগ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এছাড়া পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই মর্মান্তিক খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে শহরের নিরাপত্তা নিয়েও। যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে খুবই সামান্য দুরত্বে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। কাজেই গোটা এলাকাতেই সিসিটিভি রয়েছে। এমন ‘হাইসিকিউরিটি জোনে’ কীভাবে এই জোড়া খুন? তা ভাবাচ্ছে।

এই খুনে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। ভবানীপুরে দীর্ঘদিন ধরেই এই দম্পতির বাস ছিল। দম্পতির তিন কন্যাসন্তান। একজন বাইরে থাকেন, একজন ভবানীপুরেই থাকেন এবং অন্য এক মেয়ে ওই দম্পতির সঙ্গেই থাকতেন। শেয়ার লেনদেনের ব্যবসা ছিলেন মৃত অশোক যে শাহর। আবার একাধিক ব্যবসায় লগ্নিও ছিল। প্রশ্ন উঠছে, বাড়িতে কি প্রচুর নগদ ছিল? নাকি ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনও বিবাদে জড়িয়েছিলেন?

জানা গিয়েছে, বাড়ি বিক্রি করতে চাইছিলেন শাহ দম্পতি সেই নিয়ে বিবাদেও জড়িয়েছিলেন। তাহলে কি কোনও বিষয়ে বিবাদের জেরেই খুন? নাকি এর পেছনে রয়েছে ব্যক্তিগত শত্রুতা? অন্যদিকে আততায়ীরা কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেলেন সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে এত সময়ই বা লাগছে কেন? এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আটক তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একাধিক তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছে পুলিশ।