বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রায় দু`হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অবশেষে কলকাতায় পাড়ি দিল তারা। তাদের যাত্রাপথ বেশ অনেকটাই বড় ছিল। প্রথমে চন্ডীগড় থেকে এসি গাড়িতে করে তারা পৌঁছায় দিল্লিতে। এরপর সেখান থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে রাজধানী এক্সপ্রেস এর ফার্স্ট ক্লাস এসি কুপে চড়ে মঙ্গলবার সকালে পা রাখে কলকাতার বুকে।
কী ভাবছেন এই বিশেষ ব্যবস্থা কাদের জন্য? তারা আর কেউ নয়, কলকাতা পুলিশ ‘ডগ স্কোয়াড’-এর নতুন সদস্যবৃন্দ। ডগ স্কোয়াডের নতুন সদস্য হিসেবে আটটি সারমেয় কর্মী কলকাতায় এসে পৌঁছেছে। নবাগত এই সারমেয়কুলের মধ্যে রয়েছে আটটি ল্যাব্রাডর এবং একটি গোল্ডেন রিট্রিভার। এই ৮ সদস্যই গত ৬ মাস ধরে ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডারের পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ পেয়েছে। যেকোনো গন্ধ শুঁকতে এরা রীতিমতো বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এদেরকে যখন কেনা হয় তখন প্রত্যেকেরই বয়স ছিল তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে। গত এক বছরে কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াড থেকে ছয় সারমেয় কর্মী অবসর নিয়েছে। ফলে ওই ছয়জনের জায়গা ফাঁকা পড়েছিল। সেই জায়গায় নতুন কর্মী হিসেবে এই আট জনকে নিয়ে আসা হয়।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়া আট নবাগতদের প্রত্যেকেই মূলত বিস্ফোরক খুঁজে বের করার কাজই করবে। এই উপলক্ষে ডগ স্কোয়াডের বিশেষ কিছু প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে তাদেরকে। এছাড়াও আগামী জুলাই মাসে আরও এক সদস্য যোগদান করতে চলেছে। তার দায়িত্ব অনেক বড়। খুন, ডাকাতি এই সব অপরাধের ক্ষেত্রে সে ‘ক্রাইম ট্র্যাকার’ হিসেবে কাজ করবে।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আটটি ল্যাব্রাডর-এর নাম যথাক্রমে ডেইজি, ডলার, ব্ল্যাকি, পাওয়ার, বেলা, মলি, লেমন ও পায়েল। গোল্ডেন রিট্রিভারটির নাম কোরাল। এই আটটি ল্যাব্রাডর এবং একটি গোল্ডেন রিট্রিভারের ‘হ্যান্ডলার’ বা ক্রীড়া প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন ন’জন কনস্টেবল। ল্যাব্রাডরগুলির ‘হ্যান্ডলার’-দের মধ্যে রয়েছেন বলরাম মন্ডল, কমল কিশোর শর্মা, কৃষ্ণ তামাং, উত্তম নন্দী, অসীমন্ত বৈরাগী, শীর্ষেন্দু সরকার, সুরজিৎ ঢালি এবং সৌরভ মাহাতো। অন্যদিকে গোল্ডেন রিট্রিভারটির ‘হ্যান্ডলার’ হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন কবীন্দ্র লামা।
আপনার মতামত লিখুন :