বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘হেরে বদলা নিচ্ছে বিজেপি, মাথা নত করব না, সুপ্রিম কোর্ট যাব’! ইডি’র তলবে দিল্লি রওনা অভিষেকের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২২, ০৫:২৭ পিএম | আপডেট: মার্চ ২০, ২০২২, ১১:২৭ পিএম

‘হেরে বদলা নিচ্ছে বিজেপি, মাথা নত করব না, সুপ্রিম কোর্ট যাব’! ইডি’র তলবে দিল্লি রওনা অভিষেকের
‘হেরে বদলা নিচ্ছে বিজেপি, মাথা নত করব না, সুপ্রিম কোর্ট যাব’! ইডি’র তলবে দিল্লি রওনা অভিষেকের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা। তবে, দিল্লিতে রওনার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়ে গেলেন তৃণমূলের এই সাংসদ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বললেন, ‘বাংলায় হেরে বদলা নিচ্ছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টে যাব।’

সম্প্রতি তদন্তের স্বার্থে কলকাতার ইডির সদর দফতরে সস্ত্রীক তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের এই সাংসদকে ডাকা হোক, দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে নয়। এই আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের এই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। আর এই রায় ঘোষণার পরই ফের একবার সস্ত্রীক সাংসদকে নোটিস পাঠায় ইডি। এ প্রসঙ্গে এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি অগাস্ট মাসে হাইকোর্টে আপিল করেছিলাম। নভেম্বর পর্যন্ত চার মাস শুনানি হয়েছে। এরপর তিন মাস রায় স্থগিত করে রাখা হয়। এরপর ১০ মার্চ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়। চার রাজ্যে জেতে বিজেপি। এরপরের দিন ১১ তারিখ হঠাৎ করে রায় দেওয়া হয় আমার আবেদন খারিজ। যদিও আমি সুপ্রিম কোর্টে যাব। উচ্চ আদালতে যাওয়ার রাস্তা আমার খোলা রয়েছে এবং সর্বোচ্চ বিচার ব্যবস্থার উপর আমরা আস্থাশীল।’ 

জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েকদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে। চিকিৎসক তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ইডির তলবের কারণে এদিন তিনি দিল্লি রওনা হলেন। এদিন তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে বললেও আমি যাচ্ছি আজ।’ পাশাপাশি বিজেপিকে কটাক্ষ করে এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় হেরে গায়ে জ্বালা ধরেছে বিজেপির। তাই বারবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু আমি মাথা নত করব না। আত্মসমর্পন করব না। লড়াই চলবে।’ পাশাপাশি এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েও ফের প্রশ্ন। তাঁর অভিযোগ, ‘যাঁদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে সুদীপ্ত সেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। আজ তাঁরা বিজেপির বড় নেতা। কেউ অসমের মুখ্যমন্ত্রী, কেউ এখানকার বিরোধী দলনেতা। তাঁদের সিবিআই, ইডি ডাকে না। তখন ইডি, সিবিআই-এর চোখে ছানি।’  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্টভাবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন। যদিও তিনি মুখে কারও নাম নেননি। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলার বিজেপি বারবার যখন হারছে, তখন সামনেই রয়েছে আরও একবার উপনির্বাচন। সামনেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। সংসদে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের কৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস, ঠিক সেই সময় আরও একবার তলব করা হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইডির এই তলব প্রসঙ্গে আগের দিনই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যে, তৃণমূল নেতাদের এজেন্সি দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন যে, ‘এবার বোধহয় অভিষেকের দু’বছরের বাচ্চাকেও ডাকবে।’