শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রবিবাসরীয় বিকেলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! বালিগঞ্জে পথচারী মহিলাকে পিষে মারল গাড়ি

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২২, ০৭:৪১ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২২, ০১:৪১ এএম

রবিবাসরীয় বিকেলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! বালিগঞ্জে পথচারী মহিলাকে পিষে মারল গাড়ি
রবিবাসরীয় বিকেলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! বালিগঞ্জে পথচারী মহিলাকে পিষে মারল গাড়ি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবাসরীয় বিকেলে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আজ বিকেলে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার জেরে প্রাণ গেল এক পথচারী মহিলার। বিলাসবহুল গাড়ির বেপরোয়া গতির জেরেই প্রাণ গেল ওই মহিলা পথচারীর। ওই মৃতা মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ঘাতক গাড়ির চালককে। পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়িতে ওই চালকের সঙ্গে এক তরুণীও ছিলেন। তাঁকেও আটক করা হয়েছে। 

জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে এজেসি বোস রোড থেকে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের দিকে যাচ্ছিল লাল রঙের একটি বিলাসবহুল গাড়ি। চালকের আসনে ছিল ১৯ বছরের এক যুবক। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছে, ওই বিলাসবহুল গাড়িটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িকে প্রথমে ধাক্কা মারে। উল্টোদিক থেকে এসে ধাক্কা মারে গাড়িটিকে। এরপর আরও একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। এর জেরে কালো রঙের গাড়িটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। 

এদিকে, ঠিক ওই সময়েই এক মহিলা হেঁটে আসছিলেন। সেই সময় রাস্তায় তেমন লোকও ছিল না। ওই মহিলা দুই গাড়ির মাঝে পড়ে যান। বেপরোয়া গাড়ির গতি মুহূর্তের মধ্যেই পিষে দেয় ওই মহিলাকে। এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম ষষ্ঠী দাস।

এরপরই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর যায় বালিগঞ্জ থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মনে করা হচ্ছে, বেপরোয়া গতির জন্যই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ওই বিলাসবহুল গাড়ি। পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতা ষষ্ঠী দাস রাস্তার ধার ধরেই যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিলাসবহুল গাড়িটির গতি এতটাই বেশি ছিল যে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। 

অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা মহিলার বাড়ি পিকনিক গার্ডেন এলাকায়। কাজের সূত্রেই তিনি বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে গিয়েছিলেন। ঘাতক গাড়ির গতিবেগ কত ছিল? গাড়িতে কোনও যান্ত্রিক সমস্যা ছিল কিনা, এই মুহূর্তে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।